গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে। সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জ সদর থানায় এ মামলা হয়। এতে ৭৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে গোপালগঞ্জে এনসিপি’র সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার সংখ্যা দাঁড়াল ১৫টি।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান নতুন মামলার তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠি এলাকায় গোপালগঞ্জ-বরিশাল আঞ্চলিক সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এনসিপি’র জুলাই পদযাত্রা ও সমাবেশ বানচাল করতে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে আসামিরা পৌর পার্কের বিভিন্ন সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঁটা, রড, ইটপাটকেল, দেশি অস্ত্রশস্ত্র ও গাছ কাটার ইলেকট্রিক করাত নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন এবং একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা, রড, ইটপাটকেল ও দেশি অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ঘটনাস্থলের দোকানপাট ভাঙচুর করেন। রাস্তার পাশে থাকা সরকারি গাছ কেটে গোপালগঞ্জ-পয়সারহাট আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।
এদিকে, এনসিপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত দায়ের করা মোট ১৫ মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৬ হাজার ২০৮ জনকে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩৩৬ জন। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আগে এনসিপির সমাবেশে হামলা ও ককটেল নিক্ষেপ, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, জেলা কারাগারে হামলা, জেলা প্রশাসকের বাসভবনে হামলা, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগে ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া থানায় ১৪টি মামলা হয়।