যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক দলের একদল সিনেটর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিনেটে প্রথমবারের মতো একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওরেগনের সিনেটর জেফরি মার্কলের নেতৃত্বে উত্থাপিত এ প্রস্তাবকে ওয়াশিংটনের ইসরায়েলকেন্দ্রিক নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে সিনেটর মার্কলে বলেন, ‘এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব। আর কাজ করার সময় এখনই।’
তবে রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন সিনেটে প্রস্তাবটির অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান সিনেটরদের সমর্থন না থাকায় এটি পাস হওয়া অনিশ্চিত। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানও এর বিপরীতে।
তিনি যুক্তরাজ্য সফরের শেষ দিনে সাংবাদিকদের জানান, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে তার সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মতপার্থক্য রয়েছে। পাশাপাশি তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিরাষ্ট্র সমাধানকেও কার্যকর মনে করেন না।
সিনেটে উত্থাপিত প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি নিরাপদ ইসরায়েল রাষ্ট্রের পাশাপাশি একটি অসামরিক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেখানে হামাসকে অস্ত্র নামিয়ে রাখা, জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া, ইসরায়েলকে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ, ভূমি দখল এবং ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে অস্বীকার করা শান্তির পরিপন্থী।
এ উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন আরও কয়েকজন প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর। ভারমন্টের বার্নি স্যান্ডারস, মেরিল্যান্ডের ক্রিস ভ্যান হলেনসহ অনেকে প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। স্যান্ডারস এর আগে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ‘গণহত্যা’ চলছে বলে মন্তব্য করেছিলেন।
এদিকে প্রতিনিধি পরিষদেও ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতিনিধি রো খান্না ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির পক্ষে সমর্থন জোগাড়ের উদ্যোগ নিয়েছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের এই পদক্ষেপ গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং মানবিক সংকট নিরসনে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ানোর দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাস এ বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।