গাজা দখলে ইসরায়েলের পূর্ণমাত্রায় হামলা, নিহত ৮১ ফিলিস্তিনি

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
গাজায় নতুন করে হামলায় বহুজন হতাহত হন। ছবি: টিভি থেকে নেওয়া
Highlights
  • সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা সিটি দখলে নেতানিয়াহু সরকার নতুন করে ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনাকে যুদ্ধের ময়দানে ডেকেছে। আরও ২০ হাজার সেনার চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

গাজা সিটি দখলে পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ শহরটির বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮১ ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে ৩০ জনই মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে নিহত হন। এ ছাড়া, অনাহার ও অপুষ্টিতে তিন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে অবরোধজনিত দুর্ভিক্ষে গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬৯ জনে, যাদের মধ্যে ১১২ জনই শিশু।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে জাতিসংঘ ও অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার পাঠানো মানবিক সহায়তার গাড়ি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অনুমতিতে গাজায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সেসব গাড়িকে দেখলেই খাবারের খোঁজে ছুটে যাচ্ছেন বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী।

আর ওই জটলাগুলো লক্ষ্য করেই হামলে পড়ছে ইসরায়েলি সেনারা। গাজার প্রতিটি ত্রাণ সরবরাহ কেন্দ্র এখন পরিচিত ‘মরণ ফাঁদ’ (ডেথ ট্র্যাপ) হিসেবে। বুধবার দক্ষিণ গাজায় ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ফিলিস্তিনের জাতীয় বাস্কেটবল দলের সাবেক তারকা খেলোয়াড় মোহাম্মদ শালান।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে আছে গাজায় আটকে আছে অন্তত ১০ লাখ ফিলিস্তিনি। সংস্থাটি বলছে, ‘এটি কেবল ক্ষুধা নয়, এটি ইসরায়েল সৃষ্ট অনাহার। যেখানে খাবারের সন্ধানে ছুটতে থাকা মানুষকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়।’

গাজার ক্ষুধার্ত শিশুরা। ছবি: এপি/ইউএনবি

ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন গিশা এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করে বলেছে, তেলআবিব একের পর এক মিথ্যা যুক্তি দাঁড় করিয়ে গাজায় দুর্ভিক্ষের দায় এড়াতে চাইছে। বাস্তবে শুরু থেকেই ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়ে এটিকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

এদিকে ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছে, গাজা সিটি দখলের লক্ষ্যে অভিযানের প্রথম ধাপ শুরু করেছে তেলআবিব। এই মুহূর্তে তারা গাজা শহরের উপকণ্ঠে অবস্থান করছে এবং এটিই মূল অভিযানের প্রথম ধাপ।

শুরুতে ‘হামাস নিধনের’ উদ্দেশে অনুমোদিত অভিযানের সময় পাঁচ মাস ধরা হলেও, নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন সময় কমাতে। এতে অভিযানের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা সিটি দখলে নেতানিয়াহু সরকার নতুন করে ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনাকে যুদ্ধের ময়দানে ডেকেছে। আরও ২০ হাজার সেনার চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

নেতানিয়াহুর এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। সমালোচনা বেড়েছে ইসরায়েলেও। হামাসের হাতে জিম্মিদের পরিবার নেতানিয়াহু বিরোধী বিক্ষোভে জানান, গাজা দখলের পরিকল্পনা অবশিষ্ট জিম্মিদের জীবন হুমকির মুখে ফেলবে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *