খুলনায় পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ, সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
পুলিশ পরিচয়ে খাদ্য পরিদর্শক সুশান্ত কুমার মজুমদারকে জোর করে ট্রলারে তুলে নেওয়া হয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

খুলনায় অপহরণের সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে খাদ্য পরিদর্শক সুশান্ত কুমার মজুমদারকে। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খুলনার তেরখাদা উপজেলার আজগড়া বিআরবি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের সময় তার হাত, পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় ছিল।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা সদর থানার পুলিশ অপহৃত সুশান্ত কুমার মজুমদারকে উদ্ধার করে।

সুশান্ত কুমার মজুমদার খুলনা নগরের ৪ নম্বর ঘাট এলাকার খাদ্য পরিদর্শক ও ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায়।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হোসাইন মাসুম জানান, অপহরণের খবর পাওয়ার পর পুলিশের একাধিক ইউনিট অভিযান শুরু করে। পুলিশের তৎপরতায় আতঙ্কিত হয়ে অপহরণকারীরা সুশান্ত কুমারকে বিদ্যালয়ের মাঠে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তেরখাদা থানার পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণের পর ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পরিবারের পক্ষ থেকে মোবাইল ব্যাংকিং (এমএফএস) মাধ্যমে কিছু অর্থও দেওয়া হয়। এ ঘটনায় রূপসা উপজেলার সেনের বাজার এলাকার এক মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

এর আগে রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুলনা নগরের ৪ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে ‘পুলিশ’ পরিচয়ে সুশান্ত কুমার মজুমদারকে তুলে নেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকজন ব্যক্তি তাকে জোর করে একটি ট্রলারে তুলে নেয়। এক পথচারী সে সময় ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি জোর করে একজনকে ট্রলারে তুলছেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে চিৎকার ও গোঙানির শব্দ শোনা যায়। পরে দ্রুতগতিতে ট্রলারটি সরে পড়ে।

ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগীর স্ত্রী মাধবী রানী মজুমদার খুলনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, পুলিশের পরিচয় দিয়ে মো. রেজা ও বাবু মণ্ডলসহ আরও তিনজন তার স্বামীকে হাতকড়া পরিয়ে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান। ট্রলারে ওঠানোর সময় তাকে মারধর করে জেলখানা ঘাটের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহরণের পর তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযোগে আরও বলা হয়, বাবু মণ্ডল এর আগেও একাধিকবার তাঁর স্বামীর কাছে টাকা দাবি করেছিলেন, তবে সুশান্ত কুমার সে দাবি মানেননি।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *