খুবই কৌশলে দেশে উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তর্ক-বির্তক থাকবে— সেটাই স্বাভাবিক। তবে বর্তমান বিতর্কের ধারা এমন পর্যায়ে চলে গেছে, যেখানে মানুষের মধ্যে হতাশা তৈরি হচ্ছে।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাও অনেকক্ষেত্রে অসহায় হয়ে পড়েছেন। কারণ দেশের সবকিছু এখন নিয়ন্ত্রণ করছেন আমলারা।’
তিনি বলেন, ‘বিচ্ছিন্নভাবে জোড়াতালি দিয়ে কোনও পরিবর্তন সম্ভব নয়। পরিবর্তনের জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘স্কুল-কলেজের শিক্ষক নিয়োগেও ঘুষ দিতে হয়। প্রতিটি খাতে বৈষম্য, অনিয়ম এবং দুর্নীতি রাতারাতি পরিবর্তনের আশা করা অবাস্তব চিন্তা।’
তিনি আরো বলেন, ‘যখন প্রগতিবাদী সমাজ গঠনের কথা বলা হয়, বৈষম্য কমিয়ে আনার দাবি তোলা হয়, তখনই এসব বিষয়কে অন্যদিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।’
‘যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, অর্থনীতি কাঠামো মেরামতের কথা বলা হচ্ছে, একদিনে সব দুর্নীতি কাটিয়ে ওঠা যাবে, তা ভাবার কারণ নেই। শান্তিপূর্ণভাবে যেখানে ক্ষমতা হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া তৈরি হয়নি, সেখানে একদিনেই সব সম্ভব হবে না’, বলেন ফখরুল।
সত্যিকারের গণতান্ত্রিক নির্বাচন হলে ভবিষ্যতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত সম্ভব উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্র-জনতার চলমান আন্দোলনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে যদি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায়, তাহলে অন্তত কিছুটা হলেও গণঅভ্যুত্থানের মূল্যায়ন হবে।’