চট্টগ্রাম বন্দর কার্যত সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে। কারণ, কাস্টমস কর্মকর্তারা শনিবার দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন, যা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গুরুতর বিঘ্ন ঘটেছে।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে বন্দরে পণ্য খালাস কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আমদানি ও রপ্তানির কাস্টমস ছাড়পত্র প্রক্রিয়া পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়েছে। কাস্টমস অনুমোদন ছাড়া বন্দরের কোনো কার্যক্রম–কাগজপত্র যাচাই থেকে শুরু করে পণ্য ছাড়– সম্ভব নয়, ফলে বন্দরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশের কাস্টমস ও কর অফিসগুলোতে শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। কর্মীদের দাবি হলো-বহুপক্ষীয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজস্ব খাতের সার্বিক সংস্কার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণ।
বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যের ৯০ শতাংশের বেশি পরিচালনাকারী চট্টগ্রাম বন্দরেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে।
দ্রুত কোনো সমাধান না আসায় ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, দীর্ঘস্থায়ী এই অচলাবস্থা সরবরাহ চেইন পুরোপুরি ভেঙে দিতে পারে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি আরও মারাত্মক হতে পারে।
বাণিজ্যিক এ অচলাবস্থা নিরসনে তাৎক্ষণিক আলোচনার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।