শ্রীলংকায় দীর্ঘ এক সফর শেষ করে দেশে এসে বিশ্রামই পায়নি বাংলাদেশ দল। দুইদিনেরর বিরতিতেই নেমে যেতে হয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। যদিও আগস্টে ভারতের বিপক্ষে সাদা বলের দুটো সিরিজ খেলার কথা ছিল ঘরের মাঠে। সেটা আর হচ্ছে না ভারতের সফর বাতিল হওয়াতে। এশিয়া কাপের আগে তাই আপাতত কোনো খেলা নেই জাতীয় দলের। তবে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছেন, আসন্ন এই ফাঁকা সূচিতে নেপাল কিংবা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হোম সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা করবেন তারা।
এশিয়া কাপ মাঠে গড়ানোর আগে প্রায় মাস দেড়েকের একটা ফাঁকা সূচি আছে লিটন দাসদের। এই সময়ে কন্ডিশনিং ক্যাম্প, স্কিল ক্যাম্পের আয়োজনের কথা থাকলেও মাঠের ক্রিকেটে ফাঁকাই থাকছে সূচি। পূর্ব নির্ধারিত ব্যস্ত সূচির জন্য বড় দলগুলোর কোনো একটিকে আনতে না পারলেও এশিয়া কাপের আগে নেপাল কিংবা নেদারল্যান্ডসের সাথে সিরিজ আয়োজনের কথা জানালেন ফাহিম।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ রেফারিদের এক ট্রেনিং প্রোগ্রাম শেষে বিসিবির এই সহ-সভাপতি বলেন, ‘এটা নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। বেশিরভাগ দেশের সূচিই আগে থেকে ঠিক করা আছে। আমাদের এখানে ভারতের আসার কথা ছিল, আমরাও সেই হিসেব মতোই এগোচ্ছিলাম। এই সিরিজটা খেলেই আমরা এশিয়া কাপে যেতাম। যেহেতু ভারত আসছে না, একটা চেষ্টা আমরা করছি অন্য কোনো দেশকে আনা যায় কিনা। বড় কোনো দেশকে এই মুহূর্তে পাওয়া যাবে না। আমরা অন্য কোন দেশের সাথে…এটা নেপাল হতে পারে, নেদারল্যান্ডস হতে পারে। আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব। হোম সিরিজের চেষ্টাই করব।’
অবশ্য শেষ পর্যন্ত জাতীয় দলের জন্য কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজন করতে না পারলে বিকল্পও ভেবে রেখেছে বিসিবি। ফাহিম জানান, ঘরোয়া ক্রিকেট ও জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে সম্ভাব্য সেরা দলের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করতে পারেন তারা। ফাহিম বলেন, ‘ যদি বিদেশি দল না পাই, তাহলে আমরা এখন থেকে যেটা ভাবছি, আমাদের জাতীয় দল যখন বাইরে খেলতে যাবে তার আগে আমরা আবশ্যিকভাবে, সম্ভাব্য সেরা দলটার বিপক্ষে একটা সিরিজ খেলবে। এতে করে জাতীয় দলের একটা প্রস্তুতি হবে। এরচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যারা জাতীয় দলের আশেপাশে আছে তাদেরও একটা কম্পিটিশনের সুযোগ হয়ে যাবে। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে বাইরে থেকে একটা দল নিয়ে এসে খেলানোর।’