ঈদের দিনেই কোরবানির পশুর বর্জ্য সরানো চ্যালেঞ্জ নিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এদিন বিকালে জোরেশোরে মাঠে নামার কথা থাকলেও দুপুর থেকেই বিভিন্ন পয়েন্টে তৎপর হতে দেখা গেছে আবর্জনা সরানোর ট্রাক ও করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দুই সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দ্রুত ও নির্ধারিত সময়েই বর্জ্য অপসারণে হটলাইন খোলা রয়েছে এবং বর্জ্য অপসারণের জন্য প্রায় ১৩ লাখ ৯০ হাজার প্লাস্টিক, পলিব্যাগ ও বায়ো-ডিগ্রেডেবল ব্যাগ সরবরাহ করেছে দুই সিটি কর্তৃপক্ষ।

সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, এ দিন বিকেল ৩টা থেকে বর্জ্য অপসারণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন দুই সিটির প্রশাসক। আসন্ন কোরবানির ঈদে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে প্রায় ৭ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে। এসব পশু থেকে কমপক্ষে অর্ধ লাখ টন বর্জ্য সৃষ্টি হবে।
দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া জানান, ঈদের দিন বিকাল থেকে তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু হবে। ১২ ঘণ্টার ভেতরে তারা কোরবানির ময়লা পরিষ্কার করে ফেলবেন বলে আশা করছেন।
তিনি আরও জানান, আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য প্রায় ১০ হাজার কর্মী প্রস্তুত রয়েছেন। প্রস্তুত রয়েছে সিটি করপোরেশনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাড়ি।
‘একইসাথে সরকারের অন্যান্য সংস্থার কাছে রিকুজিশন দিয়ে রেখেছি- প্রয়োজনে যদি বেশি গাড়ির প্রয়োজন হয়, সেগুলো আমরা নেব। যে সমস্ত প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ময়লা কালেকশন করে বাসাবাড়ি থেকে তাদেরকেও আমরা এই অপসারণের কাজে সম্পৃক্ত করেছি। কাজেই আমাদের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই,’ বলেন তিনি
উত্তর সিটি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজও বলেন, ‘ঈদে দিনের বর্জ্য দিনের মধ্যেই অপসারণ করে শহর পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। সংস্থার প্রায় ১০ হাজার কর্মী ঈদের ৩ দিন এ পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এবার ঈদে প্রায় ২০ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হবে বরে ধারণা করছে ডিএনসিসি।’