কক্সবাজারের উখিয়া থেকে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের সড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে ‘জুলাই যোদ্ধাসহ’ ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত তিন আন্দোলনকারী আহত হন।
বুধবার সকালে উখিয়া উপজেলা সদর, কোটবাজার, কুতুপালং ও হাসপাতাল গেইট এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনের সমন্বয়ক জাহেদুল ইসলাম জাহেদ বলেন, ‘সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। হঠাৎ করে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং শিক্ষকদের হেফাজতে নিয়ে যায়।’
তিনি জানান, সম্প্রতি ইউনিসেফের অর্থায়নে পরিচালিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিক্ষা কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা এক হাজার ২৫০ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তারা চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে সড়কের একপাশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় রাস্তায় যানজটে আটকা পড়ে রোহিঙ্গাক্যাম্পের বিভিন্ন আলোচিত এনজিও’র উচ্চপদস্থ কর্মীরা। তারা পুলিশে খবর দিলে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ওই লাঠিচার্জে আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পর তাদের দেখতে যান ‘জুলাই যোদ্ধা’ জিনিয়া শারমিন। সেখান থেকেই পুলিশের হাতে আটক হন জিনিয়াসহ অন্তত ২০ জন।
এর আগে গত সোমবারও সারাদিন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন চাকরিচ্যুত ওই শিক্ষকরা। মঙ্গলবার আন্দোলন স্থগিত থাকলেও বুধবার ফের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার প্রবেশমুখে তারা অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।