ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠনে রোডম্যাপের দাবিতে ‘মার্চ ফর ইকসু’ পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা।
সোমবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে একত্রিত হন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতারা। পরে সেখান থেকে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সঙ্গে দেখা করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ছাত্র সংসদ করা সহজ। কারণ তাদের গঠনতন্ত্রে আগে থেকেই আইন আছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু আইনগত অনুমোদন নেই, সেহেতু এটা কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমি ছাত্রদের সঙ্গে আলাপ করব বলে জানিয়েছিলাম। তবে ছাত্র সংসদ আইনগতভাবে না হলে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’
ছাত্র সংসদ গঠনের প্রক্রিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইকসু ছাত্রদের দাবি। অবশ্যই এই দাবি পূরণ করব। বর্তমানে ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট অনেক আইন করেছে। আমরা পার্লামেন্টের অপেক্ষা না করে এই আইন অনুযায়ী যেভাবে আগাতে পারি সেটা হলো, শিক্ষকদের মধ্যে থেকে কয়েকজন এবং ছাত্রদের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে নিয়ে একটি প্রতিনিধিদল গঠন করে একসাথে কাজ করবে। বাকি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের জন্য যে গঠনতন্ত্র আছে সেটি এনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের জন্য একটি গঠনতন্ত্র তৈরি করবে। সেটি সিন্ডিকেটে অনুমোদন হলে ইউজিসিতে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।’
‘ইউজিসিতে শিক্ষক এবং ছাত্রদের প্রতিনিধিদলকে যোগাযোগের সুযোগ করে দেবো। অনুমোদন হয়ে গেলে সেখান থেকে এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাবে। তারপর কেবিনেটে গেলে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ আইন পাশ হয়ে যাবে’।
আগামী সপ্তাহের মধ্যে কমিটি গঠনসহ নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নির্বাচনের আশা প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য।
ইকসুর দাবিতে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যতম এস এম সুইট বলেন, ‘আজ আমরা ইকসুর দাবি নিয়ে যে “মার্চ ফর ইকসু” নামে সম্মিলিত প্লাটফর্ম গঠন করেছিলাম, সে জায়গা থেকেই উপাচার্যের স্যারের দেখা করেছি। তিনি আমাদের নভেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে ইকসু নির্বাচনের আউটলাইন দিয়েছেন। এছাড়াও ছাত্র ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে, যেটি ইকসু গঠনতন্ত্র নিয়ে কাজ করবে। আশা করি, এই আউট লাইনের মধ্যে সকল ধরনের কাজ শেষ হবে।’