ইসরায়েলের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জবাবে ইরান শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যার মধ্যে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের ভেতরে আঘাত হেনেছে।

এই সংঘাতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এগুলো কত দূর যেতে পারে—তা ব্যাখ্যা করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কয়েকশ কিলোমিটার থেকে শুরু করে ১০ হাজার কিলোমিটার বা তারও বেশি দূর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
ইসরায়েল অনেক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও, বেশ কয়েকটি প্রতিরক্ষা ভেদ করে তেল আবিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, যার ফলে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হলো দূরপাল্লার অস্ত্র, যা পারমাণবিক বা প্রচলিত বিস্ফোরক বহন করে একটি নির্ধারিত বাঁকানো পথে (ব্যালিস্টিক ট্রাজেক্টরি) গন্তব্যে পৌঁছে।
শক্তিশালী রকেট ইঞ্জিনের সাহায্যে এগুলো মহাকাশ বা উচ্চ বায়ুমণ্ডলে উঠে গিয়ে অত্যন্ত উচ্চ গতিতে ছুটে চলে। ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার পর ক্ষেপণাস্ত্র পূর্বনির্ধারিত পথে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশ করে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে আঘাত হানে নিচের লক্ষ্যবস্তুতে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের প্রকৃত আকার অজানা হলেও, এটি মধ্যপ্রাচ্যে অন্যতম বৃহৎ ও উন্নত বলে বিবেচিত।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানের সামরিক স্থাপনা এবং পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালায়, যাতে দেশটির কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানী নিহত হন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইরান পাল্টা হামলা শুরু করে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশিরভাগ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনকে মাঝপথেই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। তবে কিছু হামলা প্রতিরক্ষা ভেদ করে মূলভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে।
আন্তর্জাতিক মহল এই সংঘাতকে বড় ধরনের যুদ্ধের পূর্বাভাস হিসেবে দেখছে। যদিও এ পর্যন্ত কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করেনি।