ইসরায়েল রোববার ইরানের জ্বালানি অবকাঠামো ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছে। একই সময়ে তেহরানও নতুন করে প্রাণঘাতী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানে।
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়, এই পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়েছিল দুই দিন আগে ইসরায়েলের আকস্মিক অভিযান দিয়ে, যার লক্ষ্য ছিল ইরানের দ্রুত অগ্রসরমান পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করা।
রোববার ইরানের রাজধানী তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল গালিলি অঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্টে চারজন নিহত হন। মধ্যাঞ্চলে আরেকটি হামলায় প্রাণ হারায় দুই নারী ও এক শিশু।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের পাল্টা হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন জেনারেল, ৯ জন শীর্ষ বিজ্ঞানী ও পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ নিহত হয়েছেন। তবে ইরানে ঠিক কতজন হতাহত হয়েছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্র লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। যদিও ইসরায়েল এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
এদিকে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পারমাণবিক আলোচনা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ পরিস্থিতিকে ‘বিপজ্জনক নজির’ বলে মন্তব্য করেছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমাদের হামলার প্রকৃত শক্তি এখনও দেখানো হয়নি।’
ইসরায়েল যদি সত্যিই ইরানের প্রাকৃতিক গ্যাস প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে হামলা করে থাকে, তাহলে এটি জ্বালানি খাতে প্রথম বড় ধ্বংসযজ্ঞ হবে।
পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে, তবে বিশ্ব নেতারা উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানাচ্ছেন।