ফোর্বসের প্রকাশিত সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বের সর্বোচ্চ আয় করা ক্রীড়াবিদ হিসেবে আবারও শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সৌদি ক্লাব আল-নাসরের হয়ে খেলার সুবাদে গত ১২ মাসে তাঁর আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার—যা কেবল বছরের সবচেয়ে বেশি নয়, বরং রেকর্ড পরিমাণও। এটি রোনালদোর টানা তৃতীয় বছর এবং সব মিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো এই তালিকার শীর্ষে অবস্থান।
৪০ বছর বয়সেও রোনালদো যেন ক্লান্তিহীন এক মেশিন। মাঠে তাঁর গোলমেশিন চালু থাকলেও, আল-নাসরের হয়ে বড় কোনো শিরোপা এখনও অধরা। তবে ক্লাব পর্যায়ে ট্রফি না পেলেও, ব্যক্তিগত অর্জনে তাঁর পাল্লা ভারি। বিশ্বজুড়ে তাঁর ৯৩৯ মিলিয়ন সোশ্যাল মিডিয়া অনুসারী, বিপুল ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং নতুন স্পনসরশিপগুলো মিলে শুধুই অর্থ নয়, প্রভাবের দিক থেকেও তিনি আজও অনন্য।
বিশ্বব্যাপী ফুটবলের বাজার সম্প্রসারণে রোনালদোর ভূমিকা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সৌদি ফুটবলে তাঁর আগমন কেবল লিগ নয়, গোটা অঞ্চলের ফুটবল চিত্র পাল্টে দিয়েছে। নিজেকে শুধু কিং বলেই নয়, একজন দিগন্ত প্রসারক হিসেবেও প্রমাণ করছেন তিনি।
বাকি চারেও তারকাদের দ্যুতি
রোনালদোর পর দ্বিতীয় স্থানে আছেন NBA তারকা স্টেফেন কারি, যাঁর আয় ১৫৬ মিলিয়ন ডলার। গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্সের হয়ে নতুন চুক্তি এবং বিজ্ঞাপন থেকেই এসেছে তাঁর এই আয়। মার্চে তিনি NBA-র ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৪,০০০ তিন পয়েন্টার করার কৃতিত্ব অর্জন করেন।
তৃতীয় স্থানে ব্রিটিশ হেভিওয়েট বক্সার টাইসন ফিউরি, যাঁর আয় ১৪৬ মিলিয়ন ডলার। যদিও ডিসেম্বরের লড়াইয়ে তিনি ওলেকসান্ডার উসিকের কাছে শিরোপা হারান, তবুও স্পনসরশিপ ও নেটফ্লিক্স সিরিজ ‘At Home With The Furys’-এর কল্যাণে তাঁর আয় বেড়েই চলেছে।
চতুর্থ স্থানে আছেন NFL তারকা ডাক প্রেসকট, ১৩৭ মিলিয়ন ডলার আয় নিয়ে। নতুন চুক্তি ও বিশাল সাইনিং বোনাস তাঁকে আমেরিকান ফুটবলের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় বানিয়ে দিয়েছে।
মেসি পঞ্চমে, সাফল্য ও স্টারডম দুইই সমানতালে
পঞ্চম স্থানে আছেন লিওনেল মেসি, যার আয় ১৩৫ মিলিয়ন ডলার। ইন্টার মায়ামির হয়ে তিনি যেমন মাঠে সফল, তেমনি মাঠের বাইরেও ব্র্যান্ডগুলোর প্রিয় মুখ। Adidas, Apple সহ অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি তাঁর অর্থনৈতিক সামর্থ্য আরও জোরদার করেছে।
২০২৩ সালে ইন্টার মায়ামিকে প্রথমবারের মতো লিগস কাপ জেতাতে সাহায্য করেছেন মেসি। আমেরিকান ফুটবলে তাঁর প্রভাব শুধু গোলেই নয়, জনপ্রিয়তায়ও স্পষ্ট। মাঠে ট্রফি, মাঠের বাইরে ব্র্যান্ড—দুটোই তাঁর আয়কে টিকিয়ে রেখেছে।