জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অসংখ্য নারী সম্মুখ সারির যোদ্ধা হলেও সরকারের পট পরিবর্তনের মুক্ত আবহে রাজনীতির মাঠে হঠাৎ করেই পিছিয়ে পড়েছেন তারা।
আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী নারী প্রার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। প্রাথমিক প্রার্থীদের তালিকা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সংসদে ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৬২ জন বৈধ প্রার্থীর মধ্যে ছাত্রী মাত্র ৬০ জন, যা মোট প্রার্থীর ১৩ শতাংশেরও কম।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বিভিন্ন পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন ৫০৯ জন। এর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে ৪৭টি ত্রুটিপূর্ণ বলে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে ডাকসু জানিয়েছেন নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং অফিসার।
পদভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ছাত্রী প্রার্থী মাত্র ৫ জন। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জনের মধ্যে ছাত্রী মাত্র একজন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোট প্রার্থী ২৮ জন যার মধ্যে চার জন ছাত্রী।

এছাড়া, সমাজসেবা সম্পাদক পদে নির্বাচন করবেন ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে নয় জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৫ জন নির্বাচন করলেও তাদের মধ্যে থাকছেন না কোনো নারী প্রার্থী। তবে কিছুটা ‘কম ঝুঁকিপূর্ণ, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে মোট ১১ জনের মধ্যে নয় জনই নারী।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৫ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১১ জন, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ৯ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ১১ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১১ জন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১৯ জন। এছাড়া, সদস্য পদে মোট ২১৫ জন নির্বাচন করবেন।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ১৮টি হল সংসদে বৈধ প্রার্থী ১১০৮ জন, স্থগিত এক জন।
প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করলে যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সুযোগ থাকবে আপিল করার জন্য। ২৪ আগস্ট যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তারা।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ আগস্ট।
এবারের ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, যা প্রথমবারের মতো আবাসিক হলের বাইরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
২৯ জুলাই এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এর আগে সবশেষ ডাকসু নির্বাচন হয় ২০১৯ সালে।