রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমিতে অস্থায়ী মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ‘বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা’ পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে রেল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
বিবৃতিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘গত বছর দুর্গাপূজার সময় কিছু ব্যক্তি কোনো পূর্বানুমতি ছাড়াই খিলক্ষেতে রেলের জমিতে একটি পূজা মণ্ডপ তৈরি করে। পূজা শেষে মণ্ডপটি সরিয়ে নেয়ার শর্তে পূজা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হয়।’
‘পূজার আয়োজকরা রেলকে পূজা শেষে মণ্ডপ সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পূজা শেষে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা মণ্ডপটি সরিয়ে নেয়নি। উল্টো তারা সেখানে স্থায়ী মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। বারবার তাদের এহেন প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও পূজার আয়োজকরা কর্ণপাত করেননি,’ বলেন উপদেষ্টা।
তিনি জানান, উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে জনসাধারণের সম্পত্তি অবৈধ দখল মুক্ত করার লক্ষ্যে ‘সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন’ করে বৃহস্পতিবার খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমি থেকে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলা হয়।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘প্রথমে প্রায় শতাধিক দোকানপাট, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, কাঁচাবাজার ও সবশেষে অস্থায়ী মন্দিরটি সরানো হয়েছে। অস্থায়ী মন্দিরের প্রতিমা যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে যে কোন ধরনের ‘বিভ্রান্তি ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড’ থেকে বিরত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানায় রেল কর্তৃপক্ষ।