এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের পাসের হার কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে ‘শিখন ঘাটতি’কে দায়ী করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ ফেরদাউস। একই সঙ্গে এ ফলাফলের জন্য করোনাকেও দায়ী করেছেন তিনি।
২০২৪ সালে দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাসের হার ৯৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ থাকলেও এবার তা কমে ৯৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমেছে। সে বছর ১০ জন ফেল করলেও এবার ফেল করেছে ৫৪ জন।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার টাইমস অব বাংলাদেশকে মোহাম্মাদ ফেরদাউস বলেন, ‘গত বছরের বিপ্লবের পর থেকে শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে ক্লাস পায়নি। তাদের শিখন ঘাটতি ছিল। তা ছাড়া করোনার সময় যারা ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে ছিল, তাদেরও শিখন ঘাটতি আছে। এই ব্যাচটা করোনার সময়েও শিখন ঘাটতিতে পড়েছিল।’

৩০ বা তার ওপরে নম্বর পেলে আগে সেটাকে ৩৩ করে পাস করিয়ে দেওয়া হতো, তবে এবার সেই ‘মার্সি নম্বর’ বন্ধ করে দেওয়ায় সারা দেশেই পাসের হার কমেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এবার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মোট ২ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ২ হাজার ৫৮৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৫৪৯ জন, যা মোট পাসকৃত শিক্ষার্থীর ৫৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, গত বছর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মোট ২ হাজার ৪১১ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছিল ২ হাজার ৪০১ জন। পাসের হার ছিল ৯৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। অকৃতকার্য হয়েছিল ১০ জন।