অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান একদল তরুণের হাতে মারধর ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানী ঢাকার কাকরাইল এলাকায় জনরোষের মুখে পড়েন তিনি। ‘আওয়ামী দোসর’ আখ্যা দিয়ে তার জামা ছিঁড়ে ফেলে বিক্ষুব্ধ জনতা।
বিক্ষুব্ধ জনতা সিদ্দিকুর রহমানকে মারধরের পর রমনা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। সন্ধ্যায় তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিদ্দিককে মারধর ও হেনস্তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, জামা ছিঁড়ে ফেলার পর দুই হাত ধরে টেনেহিঁচড়ে তাকে থানার দিকে নিয়ে যাচ্ছে দুই তরুণ। এরমধ্যে কয়েকবার হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন এই অভিনেতা।
রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে একদল তরুণ সিদ্দিককে মারধর করে। তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।’
ডিসি মাসুদ আলম জানিয়েছেন, সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় জুলাই-আগস্ট হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে। তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ ও টাঙ্গাইল-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন সিদ্দিকুর রহমান। কিন্তু তিনি মনোনয়ন পাননি।
এর আগে ঢাকা-১৭ আসনে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চাইলেও তাকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। নৌকা প্রতীকে ওই আসনে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ আলী আরাফাত।