সব উৎকন্ঠা পেরিয়ে নেট রান রেটে বাংলাদেশ উঠে গেল বিশ্বকাপের মূলপর্বে। লাহোরের বাছাইপর্ব থেকে পাকিস্তানের সঙ্গী হয়ে বাংলাদেশ খেলবে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ক্রিকেট বিশ্বকাপে।
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে দুর্দান্ত শুরুর পর শেষ দুই ম্যাচে ছন্দ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। সেই সুবাদে মূলপর্বে খেলার সুযোগ অনিশ্চতায় পড়ে যায়। নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় না পেলেও নেট রান রেটে মিলেছে বিশ্বকাপের টিকেট। ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় দল হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে।
লাহোরে শনিবার বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারায় পাকিস্তান। পাঁচ ম্যাচের সবকটি জিতে বাছাইপর্বে সেরা হয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় পাকিস্তান। পরে রান রেটের বিশ্লেষনে দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে বৈশ্বিক আসরে খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম চার ম্যাচেই দুইশ ছাড়ানো বাংলাদেশের ব্যাটাররা শনিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে পারেননি জ্বলে উঠতে। পাকিস্তানকে মাত্র ১৭৮ রানের টার্গেট দিতে পারে বাংলাদেশ। ৬২ বল বাকি থাকতেই স্বাগতিক দল পেরিয়ে যায় জয়ের পথ। বাংলাদেশকে তারা হারায় ৭ উইকেটে। বড় ব্যবধানের এ পরাজয় ঝুঁকিতে ফেলে বাংলাদেশকে। তখন তাকিয়ে থাকতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ-থাইল্যান্ড ম্যাচের দিকে।
পাঁচ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দুই নম্বরে থাকা বাংলাদেশের রান রেট ছিল ০.৬৩৯। আর শেষ ম্যাচে নামার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট ছিল ৪, রান রেট ছিল -০.২৮৩। এ অবস্থাতেই বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতার জন্য মাঠে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
থাইল্যান্ডের দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ঠিকমতো এগিয়েও যাচ্ছিল। শুধু হিসেবের গড়মিলে ক্যারিবীয় মেয়েরা মাত্র ১০.৫ ওভারে ১৬৮ রান করে ম্যাচ জিতলেও নেট রান রেটে বাংলাদেশের পেছনেই থেকে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট ৬ হলেও তাদের রান রেট হয় ০.৬২৬। যার ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ জিতেও ছিটকে পড়ে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকেই। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে দ্বিতীয় বারের মতো।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল ২০২২ সালে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল।
এ বছরের অক্টোবরে ভারতে শুরু হচ্ছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা এই ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে।
বাছাইপর্ব থেকে নতুন করে যোগ হলো বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।