মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার আলোচিত মামলার মূল আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। মামলার বাকি তিন আসামির মধ্যে হিটু শেখের দুই ছেলে সজীব শেখ ও রাতুল শেখ এবং স্ত্রী রোকেয়া বেগম খালাস পেয়েছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ এই রায় দেয় দেন।
মাত্র ১২ কার্যদিবসের মধ্যে এই রায় দেওয়া হলো। দ্রুততম সময়ে মামলার নিষ্পত্তির নজির এই রায়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চার আসামিকে কারাগার থেকে মাগুরার বিচারিক আদালতে নেওয়া হয়।
দুই মাসের মধ্যেই দ্রুত এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। পুলিশ ১৩ এপ্রিল অভিযোগপত্র দাখিল করে এবং ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার। ২৭ এপ্রিল শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। মোট ২৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। ছুটির দিন বাদে টানা ১২ কার্যদিবসে মামলার শুনানি শেষ হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আসামির ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল প্রতিবেদন ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের সাক্ষ্যে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সারাদেশে সৃষ্টি হয় তোলপাড়। দোষীদের শাস্তির দাবিতে দেশজুড়ে প্রতিবাদ মিছিল ও মানবন্ধনে সোচ্চার হন সচেতন মানুষ। পাশাপাশি নেটিজেনরাও সরব হন প্রতিবাদে।
গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে মাগুরা ও ফরিদপুর হয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে নেওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ মারা যায় শিশুটির।