মাস্কের ট্রাম্পকার্ড ‘আমেরিকা পার্টি’

3 Min Read
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। ছবি: এএফপি

বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলালে ইলন মাস্ককে দেশছাড়া করার হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে পথে না গিয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, তিনি নতুন যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধের পর তাকে ঘায়েল করতে ইলন মাস্কের ট্রাম্পকার্ড হতে চলেছে নতুন দল ‘আমেরিকা পার্টি’।

স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক শনিবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানান, তার নতুন দলের নাম “আমেরিকা পার্টি”। যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত দুইদলীয় রাজনৈতিক কাঠামো রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ৬ জুলাই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন করেছে। তবে এ বিষয়ে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া এখনো দৃশ্যমান নয়।

মূলত ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি থেকেই দল গঠনের চিন্তা করেন মাস্ক। নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের গভীর সখ্যতা গড়ে উঠেছিল, তবে তিক্ততা আসতেও সময় লাগেনি। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বেরিয়ে গিয়ে মাস্ক বাজেট পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেন।

নতুন দল গঠনের বিষয়ে মাস্ক বলেন,”‘আমরা আসলে একদলীয় শাসনের মধ্যেই বাস করছি, যেখানে অপচয় আর দুর্নীতির মধ্য দিয়ে দেশকে দেউলিয়া করে দেওয়া হচ্ছে। আজ ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠিত হলো, আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে।”

নিজের বার্তায় মাস্ক দলের নেতৃত্ব বা কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের সময় মাস্ক জনমত জরিপ চালান। সে সময় তিনি এক্স ব্যবহারকারীদের জিজ্ঞাসা করেন, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল প্রয়োজন কিনা। শনিবারের ঘোষণায় মাস্ক সেই জরিপের ফলের কথা উল্লেখ করে লেখেন, “২:১ ব্যবধানে মানুষ একটি নতুন রাজনৈতিক দল চায়। এবং তারা সেটা পেতে যাচ্ছে।”

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ট্রাম্পকে নির্বাচিত করতে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন মাস্ক। নির্বাচনের পর মাস্ককে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) নামে নতুন একটি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়, যার কাজ ছিল বাজেটে বড় ধরনের কাটছাঁট চিহ্নিত করা। এই কাজ করতে গিয়েই দুই বন্ধুর সম্পর্কে ফাটল ধরে।

মে মাসে মাস্ক একাজ ছেড়ে দেন এবং ট্রাম্পের ট্যাক্স ও ব্যয়ের পরিকল্পনার সমালোচনা শুরু করেন। ওই পরিকল্পনাটিকে ট্রাম্প “বিগ বিউটিফুল বিল” বলে উল্লেখ করেছেন, সম্প্রতি এটি কংগ্রেসে অল্প ব্যবধানে পাস হয়। বিশাল এই আইনটিতে রয়েছে বিলিয়ন ডলারের ব্যয়ের প্রতিশ্রুতি ও ট্যাক্স হ্রাস, যা আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাটতি প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মাস্ক তার নতুন দলে এসব নীতির বিপরীত কিছু নিয়ে হাজির হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *