বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য জুবাইরুল আলম মানিককে শোকজ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এনসিপির যুগ্ম-সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে জুবাইরুল আলম মানিকের বক্তব্য ‘অসাংগঠনিক’ ও তা জনগণের কাছে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
বলা হয়, ‘৯ জুন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় এনসিপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আপনার একটি আপত্তিকর ও অসাংগঠনিক বক্তব্য কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির নজরে এসেছে। আপনার এমন বক্তব্য জনপরিসরে এনসিপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে এবং পার্টিকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছে।’
আরও বলা হয়, ‘এমতাবস্থায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার দায়ে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার যথাযথ ব্যাখ্যা কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আব্দুল্লাহ আল-আমিনের নিকট আগামী তিন দিনের মধ্যে লিখিত আকারে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।’
৯ জুনের ওই অনুষ্ঠানে জোবাইরুল আলম মানিক বলেছিলেন, ‘আমরা জুলাই অভ্যুত্থান সফল করেছি। বিগত ১৬-১৭ বছর কেউ এ নেতৃত্ব দিতে পারেনি। এটি একটি রাজনৈতিক বিপ্লব। কেউ যদি বলে যে শিক্ষার্থীরা তাদের কাজ শেষ করেছে, তারা ক্যাম্পাসে ফিরে যাক।আমরা বলবো, বিগত ১৬ বছরের একজন মাফিয়াকে হটাতে পারছি। আমাদের বুঝ দিয়ে আবার যদি কেউ মাফিয়া হতে চায়, তাদের বলবো আমাদের চেয়ে বড় মাফিয়া নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যদি আবার জাবেদ হতে চায় (সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী), আমাদের ভোট কেড়ে নিতে চায়, তাহলে আমরা আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও ওয়াসিম আকরামের মতো শহীদ হয়ে তাদের রুখে দেবো। এক্ষেত্রে সংখ্যা চিন্তা করার দরকার নেই।’
‘১৮ জুলাই আমরা ২০-২৫ জন শাহ আমানত সেতু ব্লক করি। এমন কম সংখ্যক ছাত্র-জনতা নিয়ে যদি আমরা আনোয়ারা-কর্ণফুলী থেকে চট্টগ্রামে গিয়ে নেতৃত্ব দিতে পারি তাহলে এখন কেন পারবো না।’ বলে যোগ করেন মানিক।
তার এমন বক্তব্যের জন্য এনসিপির পক্ষ থেকে শোকজ করা হয়েছে। কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে তিন দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আব্দুল্লাহ আল-আমিনের কাছে লিখিত আকারে জবাব দিতে বলা হয়েছে।