ফিল্মি কায়দায় ছিনতাই করে পালিয়ে গেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিও দেখে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল নামের যুবককে। তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ছিল ১৫ এপ্রিল ভোর ৪টায় রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ায়।
ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার (মিডিয়া) তালিবুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিসি তালিবুর বলেন, ‘শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে গাজীপুরের পূবাইল থানা পুলিশের সহায়তায় কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। অপর দুজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
পুলিশ জানায়, ১৫ এপ্রিল ভোর ৪টার দিকে শান্তি পরিবহনের বাস থেকে নেমে অংগ্যজাই মারমা নামে একজন তার চাচাতো বোনকে নিয়ে রিকশায় বাসায় ফিরছিলেন। তাদের বাসা পশ্চিম শেওড়াপাড়ায়। তাদের বহনকারী রিকশা মান্নান সরণির কাছে পৌঁছলে মোটরসাইকেলে আসা ছিনতাইকারীরা ঘিরে ধরে।
ইমরান খান সাকিব ও তার দুই সহযোগী ধারালো চাপাতি হাতে রিকশার দুই যাত্রীকে ভয় দেখায়। তাদের মানিব্যাগ ও রুপার চেইন কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ছিনতাই করা মানিব্যাগে নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা, তিনটি ক্রেডিট কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র, মেট্রোকার্ড ও মূল্যবান কাগজপত্র ছিল।
ছিনতাইয়ের এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের নজরে আসে। তারা প্রথমে ভিকটিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তার আশ্বাস দেয়। তখন অংগ্যজাই মারমার অভিযোগের ভিত্তিতে ১৭ এপ্রিল মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা হয়।
পুলিশ শুক্রবার সকালে গাজীপুরের পূবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিলকে। তার কাছে থেকে উদ্ধার হয় ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর মডেল থানাধীন পূর্ব মনিপুরে বাবা হজুর মসজিদ সংলগ্ন সুন্দরবন ফার্নিচারের কারখানার ছাদ থেকে উদ্ধার হয় ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত ধারালো চাপাতি।
পুলিশ দাবি করেছে, শাকিল একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, চুরি ও মাদক মামলা রয়েছে।