হামলার জবাবে ইরানও পাল্টা হামলা চালাতে পারে ইসরায়েলে-এমন আশঙ্কা থেকে জেরুজালেমের সুপারশপগুলোয় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে খাদ্য ও পানি। মজুত করার জন্য মানুষ এখন এগুলো হুমড়ি খেয়ে কিনছে।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে সাইরেনের শব্দ ও মোবাইলের সতর্কবার্তায় ঘুম ভাঙে ইসরায়েলের জনগণের।
দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে মানুষকে জানানো হয়, তাদের সামনে একটি ‘গুরুতর হুমকি’ রয়েছে। তাই, সবাই যেন আশ্রয়কেন্দ্রের কাছাকাছি স্থানে অবস্থান করে।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, সারা দেশে রক্ত সংগ্রহের কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে এবং যেসব রোগী বাড়ি ফিরে যাওয়ার মতো কিছুটা সুস্থ, তাদেরকে ছেড়ে দিচ্ছে ইসরায়েলের হাসপাতালগুলো।
অন্যদিকে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পশ্চিম তীরে সব ফিলিস্তিনি শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এইসব প্রস্তুতির মূল কারণ পাল্টা হামলার আশঙ্কা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে প্রায় ১০০টি ড্রোন ইতোমধ্যে ইসরায়েলের দিকে রওনা হয়েছে।
আলজাজিরা জানায়, জার্মান বিমান সংস্থা লুফথানসা জানিয়েছে, ইরানের ইসরায়েলের ব্যাপক হামলার পর তারা তেহরানের সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার অ্যারোফ্লটও বলছে, তারা মস্কো এবং তেহরানের মধ্যে ফ্লাইট বাতিল করেছে। একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য রুটে পরিবর্তন এনেছে।