গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা উদ্দেশ্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এখনও নুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে না পাঠানোয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নুরকে দেখতে যান এই বিএনপি নেতা। সেখানে তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘নুরুল হক নুরের উপর আক্রমণ খুবই উদ্দেশ্যমূলক। তার নাক দিয়ে এখনও রক্তপাত হচ্ছে। কি উদ্দেশ্য, কারা, কেন এটি করলো সেটি তদন্ত করে বের করা উচিৎ এবং বিচার দরকার। তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো উচিৎ।’
নুর যেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে রাজনীতির মাঠে ফিরে আসে সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মির্জা আব্বাস।
গত ২৯ আগস্ট ঢাকার রমনার বিজয়নগর এলাকায় জাতীয় পার্টি ও গণধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় নুরকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
গণঅধিকার পরিষদ নেতাদের ওপর হামলার ওই ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সরকারকে দেখা উচিৎ হামলাগুলো কোথায় থেকে হচ্ছে। যদি সরকার এতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা ধরে নেব সরকার আর তাদের “কমান্ড” ধরে রাখতে পারছেন না।’
এসময় গত শুক্রবার রাজবাড়ীতে মাজার ভাঙচুরের বিষয়েও এই বিএনপি নেতাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও অনেক কিছুই আপনারা দেখতে পাবেন। নির্বাচন যেন না হয়, এটি তার প্রকাশ্য চেষ্টা। একটি শ্রেণি চাইছে ফেব্রুয়ারিতে যেন কিছুতেই নির্বাচন না হয়।’
‘দেশ কোনো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্যে নেই। গোটা দেশেই অস্থিরতা বিরাজ করছে। শাসন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার মুখে রয়েছে।’- বলেন মির্জা আব্বাস।