মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঘোষিত এই মুদ্রানীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, বছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণা করে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি স্থায়ীভাবে ৭ শতাংশের নিচে না নামা পর্যন্ত রেপো হার ১০ শতাংশই থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘ধারণা অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির হার যদি ধীরে ধীরে আরও কমতে থাকে, তাহলে নীতি সুদ (রেপো) হার কমানো হতে পারে।’
যদিও এ বছরের জুনে মাসিক মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর সর্বনিম্ন। তবুও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ নাগাদ বাৎসরিক গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৩ শতাংশে, যা ২০১৩ অর্থবছর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আগের অর্থবছর এই হার ছিল ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২ সালের মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত নীতি সুদহার বা রেপো রেট ১১ বার বাড়িয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে এই হার ১০ শতাংশে উন্নীত করা হয়।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্ট করে দিয়েছে, মূল্যস্ফীতির হার ৭ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত নীতি সুদ (রেপো) হার ১০ শতাংশেই অপরিবর্তিত থাকবে।
নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধে কঠোর আর্থিক নীতি বজায় থাকবে। এতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যস্ফীতি সম্পর্কিত প্রত্যাশা স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে।