ইসরায়েলি হামলায় নিহতের গুঞ্জনের মাঝে জনসমাবেশে দেখা গেছে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অভিজাত কুদস ফোর্সের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কায়ানিকে। তেহেরানে আয়োজিত বিজয় উৎসবের একটি ভিডিওতে তাকে দেখা যায়। কাতারে মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাফল্য উদযাপন করতে এই আয়োজন করা হয়।
এমন সময় ভিডিওটি সামনে এলো, যখন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, বিশেষ করে নিউইয়র্ক টাইমস, দাবি করেছিল ১৩ জুন ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিজের বাসভবনে নিহত হয়েছেন জেনারেল কায়ানি।
তবে এসব খবরকে ভুল প্রমাণ করে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায়- জনতার উল্লাসের মাঝে উপস্থিত কায়ানি। এক্সে (সাবেক টুইটার) তাসনিম লেখে, ‘‘অপারেশন ডিভাইন ভিক্টরি’’-র পর মঙ্গলবার তেহরানে জনগণের বিজয় সমাবেশে অংশ নিয়েছেন কমান্ডার কায়ানি।
রাষ্ট্রীয় চ্যানেল প্রেস টিভিও ভিডিওটি সম্প্রচার করে জানায়, ‘আইআরজিসির কুদস ফোর্সের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কায়ানি বিজয় সমাবেশে অংশ নিয়ে উচ্ছ্বসিত জনতার উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন।’
এই সমাবেশ মূলত যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কাতারের ঘাঁটিতে ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় আয়োজিত ‘ডিভাইন ভিক্টরি’ উদযাপন অনুষ্ঠান ছিল।
এর আগেও ইরানের আরেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টা আলী শামখানিকে ইসরায়েলের হামলায় নিহত বলে দাবি করেছিল কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। কিন্তু ইরানি রাষ্ট্রীয় সূত্র জানিয়েছে, তিনি বেঁচে আছেন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাগুলোর মধ্যেও এসব তথ্য ইঙ্গিত দেয়—ইরানের শীর্ষ নেতৃত্ব এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং ইসরায়েলি প্রচারের বিপরীতে বাস্তবতা ভিন্ন।