নিরীহ কেউ যেন অহেতুক মামলায় হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। ৫ আগস্টের পর একটি মহল হয়রানির উদ্দেশ্যে মূল আসামির সঙ্গে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে মামলায় আসামি করছে। এ বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।’
সোমবার (২৮ এপ্রিল) পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকসহ বিভিন্নজনের নামে ‘মিথ্যা মামলার’ প্রশ্নে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষিতের সংখ্যা বেড়েছে। সবাই নিজের হাতে অভিযোগ লিখে নিয়ে আসেন। তখন সেটি আমাদের মামলা হিসেবে রুজু করতে হয়। সে সময় এটি সত্য না মিথ্যা, তা যাচাই করার সুযোগ নেই। এরপর তদন্তে গিয়ে আমরা দেখি সেটি আসলে কতটুকু সত্য, কতটুকু মিথ্যা। সত্য অংশটুকুই আমরা তদন্তে নিয়ে এসে আদালতের কাছে পাঠাই।
তিনি জানান, জুলাই-আগষ্টের ঘটনায় প্রায় দেড় হাজার মামলা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০০টি রয়েছে হত্যা মামলা। এখনো মামলা হচ্ছে। রোববারও (২৭ এপ্রিল) মামলা হয়েছে। গত ৮ মাসে কোনো হত্যা মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। তবে দু’টি হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত শেষ করেছে মহানগর পুলিশ–ডিএমপি।
তিনি বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগে উদ্দেশ্যেপ্রনোদিতভাবে আসামি করে মামলা করা হচ্ছে। পুলিশ এসব যাচাই করছে। যাতে কোনো নিরপরাধ লোক শাস্তি না পায় তা নিশ্চিত করতে তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ করছেন। তদন্ত কাজ সার্বক্ষনিক তদারকি করা হচ্ছে। সাধারণভাবে হত্যা মামলার তদন্ত শেষ হতে সময় লাগে।’
‘আবার অনেক মামলায় বাদি আসামির নামে আদালতে নারাজি দিচ্ছেন, টাকা নিচ্ছেন, এমনও হচ্ছে। তবে এর সঙ্গে তদন্তের কোনো সম্পর্ক নেই’, বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘প্রত্যাশিত স্বতন্ত্র পুলিশ কমিশন এই সরকারের সময়ে বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে আর হওয়ার সম্ভবনা নেই।’
তিনি বলেন, ‘ঝটিকা মিছিল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া হুমকি চ্যালেঞ্জ নিয়ে মোকাবেলা করা হচ্ছে। মব জাষ্টিসে জড়িতদের বিচার হবে। এসব ঘটনায় কোনো পুলিশ সদস্যের দায়িত্ব অবহেলা থাকলে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
তিনি জানান, আন্দোলনের সময় পুলিশের ৪০৫টি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্থ হলেও এখনো একটিও কেনা হয়নি। তবে ২০০টি যানবাহান কেনার প্রক্রিয়া চলছে।