‘তথ্যে তারুণ্যে নিত্য সত্যে’ স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা কেক কাটেন। এ সময় ডুজার প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য খায়রুজ্জামান কামালসহ সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘বিতর্কের ঊর্ধ্বে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা সহজ নয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা সেই কঠিন কাজটি দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করছেন। তাদের প্রতিবেদনে যেমন অসংগতি ধরা পড়ে, তেমনি ইতিবাচক কার্যক্রমও প্রতিফলিত হয়।’
তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশাসনের সহযোগিতামূলক সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে জানান, অনেক সময় ডুজার সদস্যদের সংবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের যুক্ত করে এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজনের প্রস্তাবও দেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি আবু সাদিক কায়েম বলেন, ‘আমরা নেতা নই, শিক্ষার্থীদের সেবক। ফ্যাসিবাদী সময়ে শিক্ষার্থীরা যখন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তখন সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা পাশে দাঁড়িয়েছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের সময়ও তারা নয় দফা দাবিপত্র সংবাদমাধ্যমে পৌঁছে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা আমাদের ভুল ধরিয়ে দেন, সমালোচনার মাধ্যমে পথ দেখান। তাই আমরা চাই, তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হোক, যাতে তারা আরও দক্ষ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।’
আলোচনা সভায় ডুজার প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য খায়রুজ্জামান কামাল স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে সংগঠনটি নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। তবে সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠতা ও সাহসী ভূমিকার মাধ্যমে সেগুলো অতিক্রম করেছেন।’
ডুজার বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি বলেন, ‘আমাদের পথচলায় অনেক চ্যালেঞ্জ এসেছে, কিন্তু সেগুলো আমাদের থামাতে পারেনি। আমরা বিশ্বাস করি, সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠতা ও সাহসী ভূমিকা ভবিষ্যতেও বিশ্ববিদ্যালয় ও সমাজকে পথ দেখাবে।’