সংবিধানের মূল নীতি হিসেবে ‘জুলাই সনদ’ অন্তর্ভুক্তির জোর আপত্তি জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এটিকে সংবিধানের মৌলিক নীতির অংশ করার যে আহ্বান রাজনৈতিক মহলে চলছে তাকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে তিনি অভিহিত করেন।
শুক্রবার (১১ জুলাই) নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জিয়া পরিষদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘বিএনপি ইতোমধ্যে জুলাই সনদের অনেক বিষয় মেনে নিয়েছে। কিন্তু এটিকে সংবিধানের মৌলিক নীতির অংশ কেন করা হবে?’
‘সংবিধানের সংস্কার আগে করতে হবে এবং জুলাই সনদকে সংবিধানের মৌলিক নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, এইসব দাবি বিভ্রান্তিকর। এটি মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। কেন আপনারা এভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন?’
বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করে জনগণকে বিভ্রান্ত না করার আহ্বান জানান রিজভী।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার কোনো পর্বতমালার মতো স্থির কিছু নয়, এটি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া। গণতন্ত্র, রাষ্ট্র বা জনগণের স্বার্থে যখন প্রয়োজন হয়, তখন সংস্কার করা উচিত এবং উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা উচিত। সংস্কার সারা দেশে এবং সব সময় অব্যাহত থাকবে।’
রিজভী বলেন, ‘স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের দরজা বন্ধ করে জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন। আমাদের এখন সেই বন্ধ দরজাটি আবার খুলতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠন করে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে।’
সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে দেশ দুর্ভিক্ষে পতিত হয় কিনা, এমন শঙ্কা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আমরা সকলেই মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করে চলেছি। কিন্তু এটাও সত্য যে- আমরা যদি দুর্ভিক্ষের লক্ষণ দেখতে এবং শুনতে শুরু করি, তাহলে জনগণ আমাদেরও ছাড় দেবে না।’
‘অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে মানুষ বেকার হয়ে পড়ছেন।মানুষ যদি খাবার কিনে খেতে না পারে, তাহলে এটি দুর্ভিক্ষের স্পষ্ট লক্ষণ। যদি এই ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়—তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না— তখন পতিত ফ্যাসিস্টরা আনন্দে হাততালি দেবে।’