জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩-এর জন্য ছবি আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল ২০২৪ সালের ২৬ জুন। সরকার পরিবর্তনের কারণে নতুন জুরি বোর্ড গঠন করা হয় ছবিগুলো দেখার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক বছরের বেশি সময় পার হওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
কেন দেরি হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে জুরি বোর্ডের বেশ কয়েকজন সদস্য টাইমস অব বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেন। তারা প্রত্যেকেই জানান, ৩ মার্চ জুরি বোর্ড তাদের চূড়ান্ত নম্বরপত্র তথ্য জমা দিয়েছে। এরপর আর এর কোনো আপডেট তাদের কাছে নেই।
জুরি বোর্ড সদস্য সুরকার মাকসুদ জামিল মিন্টু বলেন, ‘আমরা সবগুলো ছবি দেখে নম্বর জমা দিয়ে দিয়েছি মাস তিনেক তো হয়ে গেছে। এখন চূড়ান্তভাবে কারা পুরস্কার পাচ্ছেন তা প্রকাশের দায়িত্ব কিন্তু আমাদের না। এটা মন্ত্রণালয়ের আলাদা কমিটি রয়েছে। তারা মিটিং করে প্রকাশ করার কথা। এতদিনেও কেন করছেন না তা আমাদের জানা নেই।’
শোনা যাচ্ছে, সরকার ২০২৩ ও ২০২৪ সালের পুরস্কার এক সঙ্গে দিতে চাইছে। এ জন্য দেরি করছে। কারণ, দুই সালের পুরস্কার একসঙ্গে দিতে হলে ২০২৪ এর পুরস্কারের জন্য ছবি আহ্বান করতে হবে। সে সম্পর্কিত কোনো বিজ্ঞপ্তি এখনো দেওয়া হয়নি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নতুন জুরি গঠন ও তারা ছবি দেখে নম্বরপত্র জমা দিতে হবে, যা কি না ৪ থেকে ৬ মাসের ব্যাপার।
এ বিষয়ে মাকসুদ জামিল মিন্টু বা অন্য কোনো জুরি কোনো কিছু জানেন না বলে জানান। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা. শারমিন আখতার জানান, এ ব্যাপারে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। এমনকি কবে ২০২৩ এর পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে, এ ব্যাপারেও জানেন না বললেন।
সর্বমোট ২৭টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-আজীবন সম্মাননা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ইত্যাদি। এবার সবগুলো ক্যাটাগরির জন্য ৫০ এর অধিক ছবি জমা পড়েছিল। এর মধ্যে থেকে জুরি বোর্ডের নম্বরে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে ‘সাঁতাও’ ও ‘আদিম’।