ঠিক যেন প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের পুনরাবৃত্তি। তাড়াহুড়ো করে শট খেলায় ব্যাটিং অর্ডারে ধ্বস। মাঝে একটা জুটি। তবে দুই দলের ব্যাটিং আর স্কোরকার্ডে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন জাকের আলী অনিক। সতীর্থরা যেখানে উইকেটে টিকে থাকতে সংগ্রাম করেছেন রীতিমতো, জাকের সেখানে করলেন ফিফটি। তার ৪৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংসে ভর করে ২০ ওভার শেষে ১৩৩ রান করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে অল আউট করার ইনিংসে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন সালমান মির্জা ও অভিষিক্ত আহমেদ দানিয়াল।
মিরপুরের আজকের ম্যাচের উইকেট যে খুব একটা রহস্য নিয়ে হাজির হয়েছিল এমনটাও নয়। উইকেটে বেশ ভালো বাউন্স ছিল। নতুন বলে পাকিস্তানি পেসাররা বেশ সুইং-মুভমেন্টও আদায় করেছেন। সেই হিসেবে ব্যাটারদেরও শট খেলতে অসুবিধা হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটাররা দ্রুত রান তুলতে গিয়ে উইকেট দিয়েছেন দেদারসে। ২৮ রানের মধ্যেই পড়ে যায় প্রথম চার উইকেট। সেই ব্যাটিং ধস থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছেন জাকের-মাহেদী জুটি। পঞ্চম উইকেটে দুজন গড়েছেন ৪৯ বলে ৫৩ রানের জুটি।
বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানোর এই জুটিতে মাহেদীর অবদান ২৫ বলে ৩৩। দুটি করা ছক্কা ও চারে সাজানো এই ইনিংস থেমেছে মোহাম্মদ নওয়াজের বলে লং অফে হাসান নওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে। তবে অন্য প্রান্তে জাকের ছিলেন অটল। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ছক্কা মেরেছেন পাঁচটা, তার ৪৮ বলের এই ইনিংসে চার ছিল মাত্র একটি। পাঁচ ছক্কার দুটোই মেরেছেন শেষ ওভারে আব্বাস আফ্রিদিকে। প্রথমটা জায়গায় দাঁড়িয়ে লো ফুলটস পেয়ে আছড়ে ফেলেছেন ওয়াইডিশ লং অন দিয়ে। গ্যালারির দ্বিতীয় তলায় আছড়ে ফেলা শেষ ছক্কাটায় ছুঁয়েছেন নিজের তৃতীয় ফিফটি। ইনিংসের শেষ বলেও খেলেছিলেন লফটেড শট। তবে স্লোয়ারে লং অফে ধরা পড়েন মোহাম্মদ নওয়াজের হাতে।
এর আগে শ্রীলংকা সফরে খেলা একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে চার নম্বর ব্যাট করেছিলেন নাঈম শেখ। পাকিস্তানের বিপক্ষে তাকে নামানো হলো পছন্দের ওপেনিং পজিশনে। তবুও সুবিধা করতে পারলেন না তিনি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফাহিম আশরাফকে স্কুপ করতে চেয়ে উইকেটকিপার মোহাম্মদ হারিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তানজিদ তামিমের জায়গায় একাদশে আসা এই বাঁহাতি ওপেনার।
তিন নম্বরে নেমে লিটন দাস উইকেটে ছিলেন ৯ বল। সালমান মির্জাকে দারুণ এক চার মেরে শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটার। পঞ্চম ওভারে পেসার সালমানের বলে মিড উইকেটে লফটেড শটে ধরা পড়েন নওয়াজের হাতে। চারে নাম হৃদয় আউট হয়েছেন কোনো রান না করেই। সালমান মির্জার ওভারে মিড অফে ঠেকে দ্রুত সিংগেল নিতে গিয়ে নন স্ট্রাইকে আগা সালমানের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটার।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে টানা দুই বলে একটি করে ছক্কা ও চার মেরে ভালো শুরুর ইংগিত দিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন। অভিষিক্ত আহমেদ দানিয়ালের বলে টাইমিংয়ের গড়বড়ে মিড অনে ক্যাচ দেন আগের ইনিংসে ঝড়ো ফিফটি করা এই বাঁহাতি। মাঝে শামীম হোসেনও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৭ বলে ৪ রান করে বোল্ড হয়েছেন।