বিমানবাহিনীকে জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান না চালাতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে সরকার। মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রাজধানীর উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের ছয় দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মঙ্গলবার দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আলোচনা শেষে জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান চালানোর বিষয়ে আইন উপদেষ্টা জানান, ‘বিমানবাহিনীকে জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান না চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘মাইলস্টোন স্কুলে একটি তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে যেখানে নিহত ও আহতদের তথ্য রাখা হচ্ছে। নিখোঁজদের সম্পর্কে তথ্যও এখানে পাওয়া যাচ্ছে। এই তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে। নিহত ও আহতদের পরিবারগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ, পূনর্বাসন এবং ট্রমা ম্যানেজমেন্ট সাপোর্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
এছাড়া, সেনাবাহিনীর কর্তব্য পালনকালে শিক্ষার্থীদের ওপর মারধরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুঃখপ্রকাশ করেছে সরকার। সেইসাথে সেনা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানানো হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১টার কিছু পরে বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ নিয়োজিত যুদ্ধবিমান উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় অন্তত ৩১ জন নিহত হন এবং দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবক আহত হয়েছেন। মর্মান্তিক এই ঘটনার পর মঙ্গলবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক চলছে।