জনগণের ওপরে ‘দলীয় এজেন্ডা’ চাপিয়ে পার পাওয়া যাবে না: জাহিদ

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রশ্নে জনগণের ওপরে ‘দলীয় এজেন্ডা’ চাপিয়ে পার পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে ১৬–১৭ বছরে কারও মুখে শুনিনি আমরা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। এখন স্বৈরাচারী ভাষায় বলা হচ্ছে—দাবি না মানলে এটা হতে দেব না, সেটা করতে দেব না। আপনি গণতন্ত্র মানবেন, আপনার নির্বাচনী ইশতেহার দেবেন। আমরা যদি ক্ষমতায় যাই, জনগণ যদি নির্বাচিত করে, তাহলে আগামীতে এই পদ্ধতিতে যাব।’

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে ফারিয়ার (বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাসোসিয়েশন) জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন দেন।

এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘জনগণের ওপরে কোনো “দলীয় বা আন্তর্জাতিক এজেন্ডা” চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। জনগণের কাছে যার গ্রহণযোগ্যতা থাকবে তাকেই মেনে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশকে অরাজক পরিস্থিতিতে ফেলতে চাওয়া হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এই বাংলাদেশ সেই বাংলাদেশ নয়। আপনারা আলোচনা সভায় ব্যালট বাক্স নিয়ে এসেছেন। অথচ নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থী নিয়ে সরাসরি ভোট হবে।’

বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা ও ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ৩১ দফার কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। জনগণের সামনে বিএনপি জানিয়ে দিয়েছে ক্ষমতায় গেলে তারা কী করবে।’

পিআর পদ্ধতির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘নেপালে এ ব্যবস্থায় গত কয়েক বছরে ১৪ জন প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হয়েছে।’ ফলে এ পদ্ধতি রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘পিআর পদ্ধতির দাবি তুলছে কেবল নির্বাচন দীর্ঘায়িত করে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি ও বিনিয়োগ কমানোর জন্য। এভাবে দেশে বেকারত্ব বাড়ানোর ষড়যন্ত্র চলছে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফারিয়ার আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। জাতীয় সম্মেলনের প্রথম পর্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দ্বিতীয় পর্বে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *