মনজুইকে রোববার রাতে যা ঘটলো, সেটা শুধুই একটা এল ক্লাসিকো ছিল না—এটা ছিল এক মহাকাব্য। হ্যান্সি ফ্লিকের প্রথম মৌসুমে বার্সেলোনা যেন নতুন করে জন্ম নিয়েছে, আর এই ৪–৩ গোলের ক্লাসিকো জয় দিয়ে লা লিগার মুকুট প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা।
ম্যাচের শুরুটা ছিল যেন বাজ পড়ে—বার্সার ভুলেই খেলার রাশ নিয়ে নিল রিয়াল মাদ্রিদ। কুবার্সির ভুল ক্লিয়ারেন্স, শেজনির ফাউল—তারপর এমবাপ্পের পেনাল্টি গোলে শুরু। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিনিসিয়াসের পাস থেকে এমবাপ্পের দ্বিতীয় গোল। স্কোরলাইন তখন ২–০। মনে হচ্ছিল, বার্সা বুঝি হারিয়েই বসলো।
কিন্তু তখনই ঘটল পাল্টে যাওয়ার শুরু। ফ্লিকের আক্রমণাত্মক ফুলব্যাকরা ওপরে উঠে এলেন, মাঝমাঠে দখল নিল পেদ্রি-দে ইয়ংরা। এরিক গার্সিয়ার দুর্দান্ত হেডে গোল ফিরিয়ে আনে বার্সা। এরপর লামিন ইয়ামালের টপ কর্নার গোল। ২–২! মাঠ তখন বার্সা সমর্থকদের গর্জনে কাঁপছে।
এরপর সেই মুহূর্ত আসে যখন সব পালটে যায়—পেদ্রির নিখুঁত পাস, রাফিনহার ঠাণ্ডা মাথায় ফিনিশ। বার্সা এগিয়ে যায় ৩–২ গোলে।
রিয়ালের রক্ষণ তখন এলোমেলো। ফেরান তোরেসের তৃতীয় অ্যাসিস্ট থেকে রাফিনহার দ্বিতীয় গোল—৪–২! গ্যালারি তখন যেন ছোট্ট কাতালুনিয়া।
কিন্তু এল ক্লাসিকো মানেই শেষ না হওয়া নাটক। মদ্রিচ আর ব্রাহিম ডিয়াজ নামার পর রিয়ালের ছন্দ ফেরে। ইনিয়গো মার্তিনেজের ভুলে আবারও এমবাপ্পের গোল—হ্যাটট্রিক! ৪–৩।
শেষ দিকে যখন বার্সা খেলা শেষ করতে মরিয়া, তখন ফেরান তোরেসের শটে টচুয়ামেনির স্পষ্ট হ্যান্ডবল… কিন্তু রেফারি নির্বিকার, ভিএআরও চুপ! গোটা বার্সা শিবির ক্ষুব্ধ, গ্যালারিতে গর্জন।
শেষ মিনিটে এমবাপ্পের পাস থেকে বদলি খেলোয়াড় ভিক্টর মুনোজ গোল মিস করলে সব শেষ। বার্সা ৪–৩ গোলে জয়ী।