বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি গ্রুপ দাবি করেছে, তারা কোনো ধরনের ‘দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নয়’।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, একটি ‘স্বার্থান্বেষী মহল’ উদ্দেশ্যমূলকভাবে এশিয়াটিক, এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জড়িয়ে ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়াচ্ছে।
এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ‘ভুয়া স্বর্ণপদক বিতরণ, সিআরআই-এর (সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফর্মেশন) সঙ্গে অপ্রকাশিত সম্পর্ক, স্বাধীনতার ৫০ বছর ও মুজিব বর্ষ উদযাপনে দুর্নীতি, জয় বাংলা কনসার্টে জড়িত থাকা এবং বিজ্ঞাপন বাজারে একচেটিয়া আধিপত্যের’ অভিযোগ।
গ্রুপ চেয়ারম্যান সারা জাকেরের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক অতিথিদের স্বর্ণপদক সরবরাহে এশিয়াটিকের কোনো ভূমিকা ছিল না; প্রতিষ্ঠানটি শুধু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সেবা দিয়েছিল।’
‘ইরেশ জাকের বা এশিয়াটিকের কোনো প্রতিষ্ঠান কখনো সিআরআই-এর সঙ্গে জড়িত ছিল না’ বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘সব প্রকল্পই উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কঠোর সরকারি নীতিমালা মেনে নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপন খাতেও মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে, একচেটিয়া দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
জয় বাংলা কনসার্ট নিয়েও এশিয়াটিক জানায়, তারা এসব আয়োজনে কোনোভাবে যুক্ত ছিল না।
সম্প্রতি এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছে, ‘কোনো আগাম নোটিশ বা সরকারি যোগাযোগ ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ এতে দেশের সাতশ’ স্থায়ী কর্মী, চার হাজার চুক্তিভিত্তিক কর্মী এবং পাঁচশ’র বেশি সরবরাহকারীর জীবিকা ঝুঁকিতে পড়েছে।
প্রয়াত আলী জাকেরের প্রতিষ্ঠিত এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি সততা ও পেশাগত উৎকর্ষের নীতিতে পরিচালিত হয়ে আসছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গত পাঁচ বছরে তারা জাতীয় কোষাগারে ৭৫০ কোটি টাকার বেশি কর ও ফি জমা দিয়েছে।
সারা জাকের বলেন, ‘এশিয়াটিক সততা, উৎকর্ষ ও দেশের প্রতি সেবার আদর্শে গড়ে উঠেছে। আমরা এ মূল্যবোধ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’