যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংকে বলেছেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী।
সোমবার এক বৈঠকে তারা কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি স্থাপন ও পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু অস্ত্র সক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করেন।
নতুন নির্বাচিত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জুনে নির্বাচিত হন। তিনি ট্রাম্পের কাছে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য সহায়তা চান। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল ছিল।’
লি বলেন, ‘আমি মনে করি আপনি প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি বিশ্বের শান্তির বিষয়ে এত আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং প্রকৃত সফলতা অর্জন করেছেন। তাই আমি আশা করি আপনি কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। আর এজন্য কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।’
ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘যদি আপনি শান্তির দূত হতে চান, আমি সক্রিয়ভাবে আপনার সমর্থন করব।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে অভিহিত করেন যিনি উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা সমাধান করতে সক্ষম। উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া এখনো ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে সংঘর্ষ বন্ধ করলেও এখনো আনুষ্ঠানিক শান্তি চুক্তি হয়নি।
এটি দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন নেতার জন্য একটি বড় পরীক্ষা, যখন তার দেশ দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও সামরিক সম্পর্ক ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কারণে চাপের মুখে পড়ছে।
লি জুনে দায়িত্ব নেওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার আগের প্রেসিডেন্ট ও তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে অভিশংসিত করা হয়। তিনি তার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর সিইও এবং ব্যবসায়িক নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সফর করেন। এ সফরকালে একাধিক বিনিয়োগ ঘোষণা করা হয়।
কোরিয়ান এয়ার জানিয়েছে, তারা বোয়িং থেকে ১০৩টি বিমান, জিই অ্যারোস্পেস এবং সিএফএম ইন্টারন্যাশনাল থেকে ইঞ্জিন এবং রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচিসহ মোট ৫০ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করবে।
এদিকে, হুন্ডাই মোটর গ্রুপ ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পূর্বের পরিকল্পিত ২১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগকে ২৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে।
লি ঘোষণা করেছেন, দক্ষিণ কোরীয় ব্যবসায়ীরা ১৫০ বিলিয়ন ডলার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করবে।