ঈদের ছুটিতে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। ঢাকা থেকে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। সড়ক, রেল ও নৌপথে বেড়েছে যাত্রীর চাপ।
কেউ কেউ আগেভাগে ঢাকা ছাড়লেও বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি শুরুর দিনে যাত্রীর ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ। সড়ক মহাসড়কের অনেক স্থানে দীর্ঘ যানজটের খবর পাওয়া গেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঈদযাত্রার ভোগান্তি অনেকটা বেড়েছে বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন।
বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও সদরঘাটে বাড়তি নিরাপত্তা নিয়েছে পুলিশ।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে এখন যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। অনেকে টিকিট সংগ্রহের ঝক্কি এড়াতে রওনা হয়েছেন খোলা ট্রাকে।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, কমলাপুর রেলস্টেশনে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ১০টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ৮টি আন্তঃনগর ও ২টি লোকাল ট্রেন। সারাদিনে ৫৪টি ট্রেন ছাড়ার কথা রয়েছে, যার মধ্যে একটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন রয়েছে।

সকালে প্রথম ট্রেন ‘বলাকা এক্সপ্রেস’ ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ভোর পৌনে পাঁচটায়। এবার যাত্রীরা আগেই অনলাইনে টিকিট কেটে রেখেছেন, তাই ভোগান্তি তুলনামূলক কম। তবে, অনেকে অনলাইনে টিকিট না পেয়ে ছাদে যাত্রা করতে বাধ্য হচ্ছেন।
বাস টার্মিনালগুলোতেও বুধবার রাত থেকেই যাত্রীর চাপ বেড়েছে। গাবতলী, মহাখালী ও যাত্রাবাড়ী বাস টার্মিনালে সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষের অতিরিক্ত ভিড় দেখা গেছে।
গাবতলী টার্মিনালে রংপুরের বাসের অপেক্ষায় থাকা হাসিবুর রহমান একজন ব্যাংকার, পরিবার নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। তিনি জানান, কলেজ গেট থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কে দীর্ঘ যানজট পোহাতে হয়েছে। সকাল ৯ টার বাস আধা ঘন্টা পর আসবে বলে জানানো হয়েছে কাউন্টার থেকে। দিনাজপুরের যাত্রী আব্দুল জলিল জানান তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। গাবতলীত বাসের জন্য সকালে এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।

মহাখালী বাস টার্মিনালেও একই ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন ময়মনসিংহগামী যাত্রী রোকসানা পারভীন। এরমধ্যে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, সড়কে একাধিক গাড়ি দুর্ঘটনা ও যানবাহন বিকল হওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৩ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে সদরঘাটে সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ বাড়তে শুরু করে। আগে থেকে টিকিট কেটে রাখা যাত্রীরা যেমন গন্তব্যে যাচ্ছেন, তেমনি অনেকে তাৎক্ষণিক টিকিট কেটে রওনা হচ্ছেন।