দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংকটে কক্সবাজারের প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষা কর্মসূচি পড়েছে চরম ঝুঁকির মুখে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল– ইউনিসেফ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউনিসেফ বলেছে, এ বছর ৩০ জুনের মধ্যে এক হাজার ১৭৯ জন স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকের চুক্তি শেষ হয়ে যাবে। এর ফলে বিশেষ করে কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির শিশুদের শিক্ষায় বড় ধাক্কা আসবে। সংকট মোকাবেলায় ইউনিসেফ নতুন তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করলেও অর্থের অভাবে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ইংরেজি, বিজ্ঞান ও সামাজিক শিক্ষা বাদ দেওয়া হবে। বরং রোহিঙ্গা ভাষা, গণিত ও মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক পাঠকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। নতুন পাঠ্যবই বা পাঠ দিক-নির্দেশনা প্রকাশও সম্ভব হবে না। আগের বছরের পুরোনো বই ব্যবহার করেই পড়ানো হবে। বার্ষিক মূল্যায়ন ও শ্রেণি উত্তরণের পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেছেন, ‘এই শিশুরা বিশ্বের সবচেয়ে অসহায় শিশুদের মধ্যে অন্যতম। আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করছি, কিন্তু তহবিলের অভাবে শিক্ষা কর্মসূচি স্থগিত করা ছাড়া আর উপায় নেই।’
তিনি জানান, ‘ইউনিসেফ কর্মী সংখ্যা কমিয়ে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সেবা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। শিক্ষা কোনো বিলাসিতা নয়—এটা মৌলিক অধিকার এবং মানবিক সংকটে শিশুদের আশ্রয়, সুরক্ষা ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনার ভিত্তি গড়ে।’
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আবারও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।