প্রায় দেড় দশক আগে চাকরি থেকে অবসরে গিয়েছেন, এমন পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) সরকারি কর্মকর্তাদের আবেদন বিবেচনায় নিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত একটি পর্যালোচনা কমিটির দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রতিবেদন বুধবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি জমা দেন আবেদন পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াও উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রেড-১ পদে ১২ জন, গ্রেড-২ পদে ৩২ জন এবং গ্রেড-৩ পদে ৩৪ জনসহ মোট ৭৮ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ‘ভূতাপেক্ষ’ পদোন্নতির সুপারিশ করেছে কমিটি। সুপারিশকৃতদের মধ্যে ৬ জনকে তিন ধাপ, ১৭ জনকে দুই ধাপ এবং ৫৫ জনকে এক ধাপ পদোন্নতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কমিটির তথ্য অনুযায়ী, মোট জমা পড়া ৩১৮টি আবেদনের মধ্যে ২১০টি ছিল পর্যালোচনাযোগ্য। বাদবাকি ১০৮টি আবেদন কমিটির আওতাবহির্ভূত বা তথ্য অসম্পূর্ণ হওয়ায় বিবেচনায় আনা হয়নি।
তবে ১৩২ জন কর্মকর্তার আবেদন পদোন্নতির জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হয়নি বলে জানিয়েছে কমিটি। প্রত্যাখ্যাত প্রত্যেকটি আবেদনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিটি জানায়, প্রশাসন ক্যাডার ব্যতীত অন্যান্য ক্যাডারের তৃতীয় গ্রেড ও তদূর্ধ্ব পদে কর্মরত এবং ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্টের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়। আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে কমিটি মোট ১৪টি সভা করেছে। প্রতিটি ক্যাডারের আবেদনের সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি ২০২৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গঠিত হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগের এবং আইন ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে। এই কমিটি এর আগে উপসচিব ও তার উপরের পদে আবেদনকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রথম ধাপের প্রতিবেদন জমা দেয় গত বছরের ১০ ডিসেম্বর।
সরকারি সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হয়ে আসছিল।