‘৫ আগস্টের পর ফের সন্ত্রাসে জড়ান সুব্রত বাইন’

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
সুব্রত বাইন ও তার তিন সহযোগী--আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ, এম এ এস শরীফ ও আরাফাত ইবনে নাসির। ফাইল ছবি

রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলীসহ (৬১) তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

চার্জশিটভুক্ত অপর তিন আসামি হলেন-আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ, এম এ এস শরীফ ও আরাফাত ইবনে নাসির। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, সুব্রত বাইন ৫ আগস্টের পর দেশে  প্রবেশ করে পুনরায় খুন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।

রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। আদালত মামলার ‘চার্জশিট দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করে বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।

গত ২৭ মে ভোর আনুমানিক ৫টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে কুষ্টিয়া জেলা থেকে শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সুব্রত বাইনের দুই সহযোগী শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২৮ মে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন হাতিরঝিল থানার এস আই আসাদুজ্জামান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে এবং তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতেন। সুব্রত বাইন তৎকালীন সময়ে খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্যদিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করেন। পরে তিনি ভারত পালিয়ে যান।

৫ আগস্টের পর তিনি দেশে প্রবেশ করে পুনরায় খুন, চাঁদাবাজি শুরু করেন। তার সহযোগী আসামি এস এম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করেন এবং সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রাখা আছে বলে তথ্য পায় পুলিশ। পরে হাতিরঝিল থানাধীন নতুন রাস্তা এলাকা হতে একই দিন বিকেল ৩টার দিকে আসামি এম এ এস শরীফ ও আসামি মো. আরাফাত ইবনে নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *