সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে বনদস্যুরা ৭ জেলেকে অপহরণ করেছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মুক্তিপণের দাবিতে জেলেদের অপহরণ করেছে ‘মুন্না বাহিনী’ নামে নতুন একটি বনদস্যুর দল।
জানা গেছে, সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুই দিনে সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন নদী থেকে শ্যামনগরের পার্শ্বেখালির ছাকাত সরদারের ছেলে ইব্রাহীম সরদার, গফুর গাজীর ছেলে আব্দুল হাকিম, সুজন মুন্ডার ছেলে সুজিত মুন্ডা, কালিঞ্চির বোরহান গাজীর ছেলে সাত্তার গজী, কেনা গাজীর ছেলে আকিনুর, কৈখালীর আইনাল গাজীর ছেলে বুলবুল গাজী ও রমজাননগরে তারানীপুরের কাদের হোসেনের ছেলে আরাফাত হোসেনকে অপহরণ করা হয়।
অপহরণের শিকার জেলেদের বরাত দিয়ে ফিরে আসা জেলে আবুল হোসেন ও আব্দুল আজিজ জানান, তারা সুন্দরবনের দাড়গাং নদী সংলগ্ন খালে নৌকা ও জালদড়া মেরামতের কাজ করছিলেন। এ সময় ছয় থেকে সাত বনদস্যুর একটি দল দু’দিনে সেখানে দুই দফা হানা দেয়। এ সময় তারা চারটি নৌকা থেকে চারজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ছাড়া হোগল ডোকরা খাল ও কালির খাল থেকে বাকি তিনজনকে অপহরণ করে তারা।

তবে স্থানীয় একটি সূত্র থেকে জানা যায়, অপহৃত জেলেরা অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করে মাছ ও কাকড়া শিকার করছিলেন।
এদিকে, ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা জেলে সুজন মুন্ডা জানিয়েছেন, সুন্দরবনে ‘মুন্না বাহিনী’ নামক নতুন একটি বনদস্যু বাহিনী এসব জেলেদের অপহরণ করেছে।
রমজাননগর ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লালটু জানান, বনদস্যুরা জেলেদের মুক্তিপণ বাবদ মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা করে দাবি করেছে। বনদস্যুদের স্থানীয় সহযোগীরা তিন থেকে চার দিন আগে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা কাঁচামালসহ বিভিন্ন বাজার করে সুন্দরবনে পাঠিয়েছে।
এ ব্যাপারে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) ফজলুল হক জানান, এখন সুন্দরবনে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে, কয়েকজন জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে তিনি খবর পেয়েছেন।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, কয়েকজন জেলেকে অপহরণের বিষয়ে জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। বনদস্যুদের জন্য যারা কাজ করছে, যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।