ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় ‘প্রকৃত আসামিদের’ গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন সহপাঠী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে তারা বিক্ষোভ মিছিলসহ শাহবাগ থানা ঘেরাও করেন এবং দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেখানে অবস্থান নেন।
‘বাংলাদেশের সাধারণ ছাত্রসমাজ’ ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে, তারা মূল অভিযুক্ত নয়। প্রধান আসামিকে এখনও ধরতে না পারার পেছনে পুলিশের ব্যর্থতা ও গড়িমসি রয়েছে।’
এ সময় তারা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘শাহবাগ থানা জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগানে প্রতিবাদ জানান। আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘দাবি মানা না হলে রোববার থেকে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
পরে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল শাহবাগ থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে ক্যাম্পাসে ফিরে যান। তবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঘোষণাও দেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
সাম্য হত্যা মামলায় ১৪ মে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পর ওইদিনই তাদের আদালতের নির্দেশে পাঠানো হয় কারাগারে।
১৩ মে রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসার সময় আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় কথা কাটাকাটির জেরে দুর্বৃত্তরা সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে। রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এএফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা এলাকায়।