ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাবস্থায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে জারি করা হয়েছে নৈশ কারফিউ।
দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মেঘালয়ের পূর্ব খাসি হিলসের জেলা প্রশাসক আরএম কুরবাহ স্বাক্ষরিত এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস)-এর ১৬৩ ধারা অনুযায়ী পূর্ব খাসি হিলস জেলায় নৈশ কারফিউ জারি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের শূন্য রেখা থেকে ১ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে এই কারফিউ কার্যকর থাকবে।’
খবরে প্রকাশ, নিরাপত্তা উদ্বেগ ও জটিল সীমান্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় কারফিউটি তৎক্ষণাৎ কার্যকর করা হয়েছে।
কারফিউ চলাকালে কেউ যেন অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ বা সেখান থেকে ভারতে ঢুকতে না পারে, সেজন্য ‘সীমান্তে জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ’ করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত আদেশ অনুযায়ী, প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত নৈশ কারফিউ কার্যকর থাকবে এবং তা পরবর্তী দুই মাস পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
কারফিউর আওতায় পাঁচজন বা তার বেশি লোকের যে কোনো ‘অননুমোদিত জমায়েত, শোভাযাত্রা এবং অস্ত্রস্বরূপ ব্যবহারযোগ্য লাঠি, রড বা পাথর বহন নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহালগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এরপর ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ভারত-পাকিস্তানকে শান্তি বজায় রাখার ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে পৌঁছানোর আহবান জানায়।