যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ ছাড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টানা ভারী বৃষ্টিপাতের পর গত শুক্রবার ভোরে স্যান অ্যান্টোনিও শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গুয়াদালুপ নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে গেলে এই দুর্যোগ দেখা দেয়।
বন্যায় নদী সংলগ্ন বহু এলাকা প্লাবিত হয় এবং শত শত মানুষ পানির প্রবল স্রোতে আটকা পড়ে। সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটে কের কাউন্টির ‘ক্যাম্প মিস্টিক’ নামের একটি গ্রীষ্মকালীন আবাসিক ক্যাম্পে, যেখানে নদীর পানি মাত্র ৪৫ মিনিটে ২৬ ফুট বা ৮ মিটার বেড়ে যায়।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনার সময় ক্যাম্পে প্রায় ৭৫০ জন মেয়ে শিশু অবস্থান করছিল। তাদের মধ্যে অধিকাংশকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও অন্তত ২৭ জন শিশু ও তাদের তত্ত্বাবধায়ক প্রাণ হারিয়েছেন।
বন্যা পরবর্তী উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। টানা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে বেশ কয়েকটি এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যেতে হচ্ছে বিশেষ সতর্কতায়। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। তবে দুর্যোগ মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় প্রশাসনের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
বিশেষ করে, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং আবহাওয়া সংস্থার বাজেট কমিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়েছে।
এই প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সোমবার বলেন, ‘বন্যার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দায়ী করা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর। জাতীয় শোকের এই সময়ে রাজনৈতিক দোষারোপ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
এখনও নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।