কুমিল্লার মুরাদনগরের একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আট আসামির মধ্যে সাতজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
একইসঙ্গে মামলার এজাহারের ৩ নম্বর আসামি বাচ্চু মিয়া মেম্বার আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তার বক্তব্য রেকর্ডের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়।
রোববার বিকালে চাঞ্চল্যকর তিন খুনের ঘটনায় ঢাকায় র্যাবের হাতে আটক ছয়জনকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করে পুলিশ। আসামি ৬ জন হলেন—বাচ্চু মিয়া, রবিউল আওয়াল, আতিকুর রহমান, বায়েজ মাস্টার, দুলাল ও আকাশ।
৫ নং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিদ্দিক আজাদ এসব আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে পাঠানোর নির্দেশ দেন ।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর হাতে আটক ২ আসামি—নাজিমুদ্দিন বাবুল ও ছবির আহমেদকে পুলিশের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হলে আমলি আদালত ১১ এর বিচারক মমিনুল হক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৪ জুলাই বাঙ্গরাবাজার থানা এলাকার কড়ইবাড়িতে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে নিজ বাড়ির সামনে রোখসানা বেগম রুবি, তার মেয়ে জোনাকি আক্তার ও ছেলে রাসেল মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনায় রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত এই মামলায় সেনাবাহিনী ও র্যাব মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
কুমিল্লার আদালত পরিদর্শক সাদেকুর রহমান বলেন, এ মামলায় মোট আটজনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় দুজনকে এবং রবিবার বিকেলে ছয়জনকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর মধ্যে মামলার তিন নম্বর আসামি বাচ্চু মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কথা জানিয়েছেন। তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।