অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি জুলাই আন্দোলনের চেতনার পরিপন্থী।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী শাসনামলে তথাকথিত সুশীল সমাজ স্বৈরাচারের পদলেহন করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে ‘জুলাই আন্দোলনের চেতনা বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংগঠনেরও বিচারের এখতিয়ার রয়েছে।’
আওয়ামী লীগ একটি নিষিদ্ধ সত্ত্বার নাম। এ নিষিদ্ধ সত্ত্বার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যদি কেউ ভূমিকা পালন করে তাহলে তাকেও অপরাধী হিসেবে আইনের আওতায় আনা হবে, যোগ করেন তিনি।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামে বিতার্কিকদের একটি সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ছায়া সংসদে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায় আওয়ামী লীগ এড়াতে পারে না। এই হত্যাগুলো শেখ হাসিনার সম্মতি ছাড়া হয়নি এবং গত ১৫ বছরে আওয়ামী সরকার গুম, খুন, টর্চারসেল ও আয়নাঘর তৈরি করে যে নির্যাতন চালিয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য।’
তিনি শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারের প্রতীক, ফ্যাসিস্টদের মুখপাত্র এবং উপমহাদেশের ইতিহাসে একজন কলঙ্কিত শাসক হিসেবে আখ্যা দেন, যিনি জনরোষে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডে দণ্ডিত হলে তাদের অনেকেই নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে পড়বেন, যোগ করেন তিনি।
ছায়া সংসদ প্রতিযোগিতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দলকে হারিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক দল বিজয়ী হয়।