ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে ভয়াবহ ভূমিধস ও বন্যায় অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ২৩ জন। আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে এখনো নিখোঁজ আছেন অনেকে।
টানা ভারী বৃষ্টিতে কাশ্মীরের কাটরা শহরের অর্ধকুমারীর কাছে মা বৈষ্ণদেবী মন্দিরের কাছে মঙ্গলবার দুপুরে এই ভূমিধস হয়। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। নিখোঁজদের অনুসন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছে জরুরি দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’র খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় জম্মুতে ২২ সেন্টিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
রাতে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও ধস নামে ট্রিকূট পর্বতের মা বৈষ্ণদেবী মন্দিরের যাত্রাপথে। এসময় ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৯ তীর্থযাত্রী। আহত হন অন্তত ২১ জন।
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্স পোস্টে জানান, আকস্মিক বন্যায় জম্মুতে হাজারও বাড়িঘর তলিয়ে গেছে, একাধিক সেতু ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ ও মোবাইল টাওয়ার। জেলা প্রশাসন জানায়, জম্মু থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তিন হাজার ৫০০ জনের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ কাশ্মীরে ঝিলম নদীর পানি বিপদসীমা থেকে ২২ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়ায় জম্মু, আরএস পুরা, সাম্বা, আখনূর, নাগরোটা, কোট বলওয়াল, বিষ্ণু, বিজয়পুর, পুরমান্ডল, কাঠুয়া ও উধমপুর জেলায় ছাড়িয়ে জারি করা হয়েছে বন্যা সতর্কতা।
সেইসঙ্গে জম্মু বিভাগের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৭ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাতিল হয়েছে বোর্ড পরীক্ষা।
বৈরি আবহাওয়ায় লেহ বিমানবন্দরের পরিষেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বাতিল হয়েছে জম্মু ও কাটরা স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু বা যাত্রাবিরতির ২২টি ট্রেন।