ব্যতিক্রমী গল্পে মুগ্ধতা ছড়াল ‘সম্মান’

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
‘সম্মান’ এ তারিক আনামের সঙ্গে ফারহান আহমেদ জোভান ও কেয়া পায়েল। ছবি: সংগৃহীত
Highlights
  • ‘গতানুগতিক ভাবনার বাইরে গিয়ে একটা কাজ করার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। জানি এ ধরনের কাজগুলো ভিউ কম পায়। তবে সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে আমরা নাটকটি তৈরি করেছি। সে জায়গা থেকে আমরা সফল।’

ঈদ মানেই আনন্দ। এ আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে প্রচার হয় নানা গল্প আর আমেজের নাটক, যার বেশিরভাগই থাকে হাস্যরস, রোমান্স আর থ্রিলারে ভরপুর। এসবের ভিড়ে আলাদা করে দাগ কাটে ব্যতিক্রম ধর্মী কিছু কাজ। এবারের ঈদুল আজহায় প্রচার হওয়া তেমনি একটি নাটক ‘সম্মান’।

একজন নীতিবান শিক্ষক ও তার প্রতি এক আদর্শ ছাত্রের সম্মান দেখা প্রদর্শন করার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এ নাটক। আকবর হায়দার মুন্নার গল্প অবলম্বনে নাটকটির চিত্রনাট্য করেছেন লিমন আহমেদ। নাটকটি পরিচালনা করেছেন তপু খান।

ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হওয়া এই নাটকে শিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান। তার ছাত্রের ভূমিকায় আছেন ফারহান আহমেদ জোভান। তার বিপরীতে জুটি বেঁধেছেন কেয়া পায়েল।

নাটকটির প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করে নির্মাতা ও লেখক ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন, ‘মুন্না ভাই ও তপু খানের ‘সম্মান’ দেখলাম। দারুণ গল্প। জোভান অভিনেতা হিসেবে তার শতভাগ দিয়েছেন।

কেয়া পায়েল সবসময়ই সাবলীল, প্রাণবন্ত। আর যার কথা বলতে একটু আয়োজন করে নিতে হয়, তিনি তারিক আনাম খান। আমি সবসময়ই ওনাতে মুগ্ধ। এখানে কেবল বাড়িয়েছেন সে

‘সম্ম্ন’ এর একটি দৃশ্য। ছবি সংগৃহীত

টা। সব মিলিয়ে ‘সম্মান’এই ঈদের ভালো নাটকের তালিকার একটি, যোগ করেন তিনি।

ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেলে নাটকটির মন্তব্যের ঘরে রাফি আহমেদ নামে এক দর্শক লিখেছেন, ‘সম্মান নাটকটি এক কথায় বাস্তব জীবনে আমাদের শিক্ষক এবং গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান ও তাদের গুরুদক্ষিণা দেওয়ার পরিপূর্ণ দৃষ্টান্ত প্রকাশ করে।’

কৌস্তব সান্ত্রা নামে ভারতীয় এক দর্শক নাটকটি দেখে মুগ্ধতা জানিয়ে লিখেছেন, ‘কাঁটাতারের ওপার থেকে এ সম্মান নাটকটি দেখলাম। এই বছর ঈদের সেরা সেরা নাটক এই ‘সম্মান’ হওয়া উচিত।

মিজানুর নামে একজন লিখেছেন, ‘হয়ত একদিন জোভান ভাইয়ের মনে থাকবে না এমন একটি নাটকে তিনি অভিনয় করেছিলেন। বর্তমান সময়ে শিক্ষকের প্রতি সম্মান আগের মতো নিই। বর্তমান সমাজটা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে। অসাধারণ সুন্দর একটি নাটক।’

শেখ বিথি নামের এক দর্শক তার ভালো লাগা জানিয়ে লিখেছেন, ‘নাটক টা দেখার সময় চোখে পানি চলে এসেছে। শিক্ষকের পেশা সর্বোচ্চ সম্মানের পেশা। আমাদের দায়িত্ব তাদের সম্মান, শ্রদ্ধা করা। ভালো থাকুন আমাদের সব শিক্ষকরা।’

আদৃতা নামের এক দর্শক লেখেন, ‘এ ধরনের নাটকের জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত।’

নাটকটির পরিচালক তপু খান বলেন, ‘গতানুগতিক ভাবনার বাইরে গিয়ে একটা কাজ করার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। জানি এ ধরনের কাজগুলো ভিউ কম পায়। তবে সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে আমরা নাটকটি তৈরি করেছি। সে জায়গা থেকে আমরা সফল।’

তিনি আরও বলেন, শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের কতটা শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত, একজন আদর্শ শিক্ষক কেমন হওয়া উচিত সেই গল্প নিয়ে ‘সম্মান’ নাটক। যারা নাটকটি দেখেছেন সবাই প্রশংসা করছেন। এটাই আমাদের প্রশান্তি।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *