বিসিবি নির্বাচনে নেই মাহবুব আনাম

টাইমস স্পোর্টস
2 Min Read
বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রভাবশালী পরিচালকদের একজন মাহবুবুল আনাম। যদিও মাহবুব আনাম নামেই বেশি পরিচিত। মেয়াদে মেয়াদে বোর্ড পরিচালক বদলেছে, সভাপতি বদলেছে, তবুও বিসিবিতে ধ্রুবক হয়ে ছিলেন একমাত্র তিনিই। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাথে দীর্ঘদিনের পথচলায় সামলেছেন মিডিয়া, গ্রাউন্ডসের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও। 

এবার বিসিবির সম্ভাব্য সভাপতির পদেও বেশ আলোচনায় ছিলেন এই ক্রিকেট সংগঠক। তবে বৃহস্পতিবার রাতে জানা গেছে, অক্টোবরে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচনে লড়বেন না তিনি। যদিও এখনো তফসিল ঘোষণার বাকি। 

বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির সাথে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এই চেয়ারম্যান একাধিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মূলত ক্লাব রাজনীতির জন্যই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না তিনি। এই বিষয়ে তার মন্তব্য জানতে কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। যদিও তার দাবি, ভালো প্যানেল না থাকাটাও নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার অন্যতম কারণ। সাম্প্রতিক বিষয়ের আলোকে বলেছেন, এখন নির্বাচন করার মতো পরিবেশ নেই। 

সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের সাথে তার দুরত্বের কথা এখন ওপেন সিক্রেট। ফারুক নিজেও একাধিক সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিমত পোষনের জন্য মাহবুবকে দোষ দিয়েছেন, সমালোচনা করেছেন। যদিও বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সাথে মাহবুবের সুসম্পর্কের কথাই শোনা যায় ক্রিকেট পাড়ায়। 

অবশ্য জানা গেছে, একটি বড় ব্যবসায়ী গ্রুপের নির্দেশে মোহামেডানের এক কর্মকর্তা মাঠে নেমেছেন আসন্ন বিসিবি নির্বাচনে ভোট জোগাড়ের জন্য। মূলত ক্লাবের ভোটেই পরিচালকরা নির্বাচিত হন। যার দখলে যত বেশি ক্লাব, তত বেশি কাউন্সিলরের ভোট পান পরিচালকরা। সেই ক্লাব দখলদারির যুদ্ধে নামতে চান না বলেই, নিজেকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন মাহবুব। 

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে আশির দশকে ক্রিকেট খেলেছেন মাহবুব। খেলা ছাড়ার পর ১৯৮৬ সালে সিসিডিএম-এর সাথে শুরু হয় তার ক্রিকেটের প্রশাসনিক যাত্রা। ক্রিকেট বোর্ডের সাথে কাজ শুরু করেছেন ২০০১ সালে। সেবার নির্বাচিত হন বিসিবির এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য হিসেবে। এরপর থেকে প্রায় ২৫ বছর ধরে দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে যুক্ত আছেন তিনি।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *