প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারে গুণগত মান রক্ষার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে ঝুঁকিতে পড়েছে পরিবেশ, বাড়ছে মানবদেহে ক্ষতি। ছবি: জান্নাতুল ফেরদাউস/টাইমস
Highlights
  • ‘বছরে তিন থেকে চার হাজার মাইক্রো প্লাস্টিক মানুষের পেটে যাচ্ছে। এরমধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার মাইক্রো প্লাস্টিকই মানবদেহে যাচ্ছে বোতল ও পানি থেকে।’

পরিবেশের ক্ষতি কমাতে প্লাস্টিককে পেট্রোলিয়ামে রূপান্তরিত করে পরে আবার সেই পেট্রোলিয়াম থেকে প্লাস্টিক পণ্য তৈরির তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, এভাবে পুনর্ব্যবহারে প্লাস্টিকজাত পণ্যের গুণগত মান ঠিক থাকবে।

বিশ্ব পরিবেশ দিসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ প্রতিরোধ, বর্জ্যব্যবস্থাপনা ও ভূমিকম্প সুরক্ষা প্রস্তুতি’ বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।

শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীতে ‘প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ প্রতিরোধ, বর্জ্যব্যবস্থাপনা ও ভূমিকম্প সুরক্ষা প্রস্তুতি’ বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করে বাপা। ছবি: টাইমস

অনুষ্ঠানে ‘প্লাস্টিক ও পলিথিন প্রতিরোধে করণীয়’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম ফিরোজ আহমেদ।

‘বোতলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক পণ্যের’ বিষয়ে সতর্ক করে তিনি জানান, ‘বছরে তিন থেকে চার হাজার মাইক্রো প্লাস্টিক মানুষের পেটে যাচ্ছে। এরমধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার মাইক্রো প্লাস্টিকই মানবদেহে যাচ্ছে বোতল ও পানি থেকে।’

ড. এম ফিরোজ আহমেদ দূষণ কমাতে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারের পাশাপাশি প্লাস্টিকজাত পণ্যের গুণগত মান ঠিক রাখার ওপর গুরুত্ব দেন।

বুয়েটের সাবেক সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন ‘ছোট ও পাতলা প্লাস্টিকের প্যাকেট’ ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘২০ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিকের ব্যাগ উৎপাদন ও ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ।’

তিনি পণ্যের মাল্টিলেয়ার প্যাকেজিংয়ে প্লাস্টিক বন্ধের পাশাপাশি এক্সটেন্ডেড প্রডিউসার রেসপনসিবিলিটি (ইপিআর) নিয়ে আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান।

প্লাস্টিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলেও মত দেন তিনি।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশবিদ অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম, বেলা’র হাসানুল বান্না  বাপা’র অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার, অধ্যাপক ড. এম শহীদুল ইসলাম, আলমগীর কবির প্রমুখ।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *